অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির (বিইউ) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। চার বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী অধ্যাপক ড.

মো. জাহাঙ্গীর আলমকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। 

আন্তর্জাতিক মানের কর্মমুখী ও মানসম্মত উচ্চশিক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিইউ’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার।

অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ১৯৮৩ সালে মৎস্য অধিদপ্তরে তার কর্মজীবন শুরু করেন, ১৯৮৫ সালে  বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন এবং সেখানে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে প্রায় ২৭ বছর কাজ করেন। তিনি ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ডিন, প্রধান ও পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অসামান্য গবেষণা কৃতিত্বের জন্য ২০০৯ সালে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। দেশি বিদেশি জার্নালে তার ১০৩টি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য উপ চ র য ন কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে 

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমকে প্রহার করে চোখ নষ্টের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি আজ রবিবার (১৫ জুন) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে খুলনা মহানগর দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে নেয়ার আগে উপ‌স্থিত বিএনপি ‌নেতাকর্মীরা হাসান আল মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম এরং আম নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা দৃষ্টান্তমূলক শা‌স্তি চেয়ে বি‌ভিন্ন স্লোগানও দেয়। পরে বিএন‌পি নেতাদের শান্ত রাখার জন্য সেনা ও নৌ বা‌হিনীর সদস্যরা টহল দেয়।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ

মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম জানান, মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার (১৫ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি হাসান আল মামুন নিজে বিএনপি নেতা ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ অকেজো হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে