বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনা করে নতুন সামনে এসেছে। পুলিশের দাবি, এ মামলার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি রাতে প্রত্যক্ষদর্শীদের দিয়ে শনাক্ত করানো হয়েছে। সাইফ মামলার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী জেহর আয়া এবং নার্স এলিয়ামা ফিলিপে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে কারাগারে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র। আর তাঁরা নিশ্চিত যে শরিফুলই সাইফের ওপর হামলা করেছিলেন।

আরও পড়ুনহামলার ঘটনার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে সাইফ, বললেন.

..০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

১৬ জানুয়ারি রাতে সাইফ আলী খানের ওপর অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি হামলা করেছিলেন। এ হামলার অভিযুক্ত হিসেবে বান্দ্রা পুলিশ শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক। চোরাই পথে তিনি ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। শরিফুল এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন। এখন তাঁর ঠিকানা মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেল।

বুধবার আর্থার রোড জেলে সাইফ হামলার অভিযুক্ত শরিফুলের শনাক্তকরণ প্যারেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সাইফ-কারিনার বাসার পরিচারিকা, গৃহকর্মী এবং জেহর আয়া কারাগারে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। শনাক্তকরণ প্যারেডের সময় প্রায় একই চেহারার অন্য কয়েদিদের সঙ্গে শরিফুলকে দাঁড় করানো হয়েছিল।

অভিযুক্ত শরিফুল। এএনআই

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তরখানে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরখানে গ‍্যাসের লাইন লিকেজের আগুনে দগ্ধ এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন স্বামী ময়নুল (৪০) ও স্ত্রী আনোয়ারা (৩২)। ময়নুল পেশায় রিকশাচালক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওই দম্পতি দগ্ধ হন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে একজন আর রাত ১০টার পরে অপরজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, এই দম্পতি উত্তরখানের ভূইয়াবাড়ি বাঁশতলায় একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন। রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন লাইটার দিয়ে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় আগুনে তাঁরা দগ্ধ হন। তাঁদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পানি দিয়ে আগুন নেভান। পরে দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনাস্থলের পাশের সড়কে সিটি করপোরেশনের কাজ চলছিল। ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় ওই বাসার গ্যাসের লাইন ফেটে যায়। গত কয়েক দিন ধরেই ফেটে যাওয়া লাইন থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। ঠিকাদারকে এ বিষয়ে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। সেখান থেকেই গ‍্যাস লিকেজ হয়েছে। পরে বুধবার রাতেই ফায়ার সার্ভিস এসে পুলিশের উপস্থিতিতে গ‍্যাস লাইনের লিকেজ বন্ধ করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ