রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বেরোবিসাস) কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন (২০২৫-২০২৬) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি মো. ইমন আলী।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে (ক্যাফেটেরিয়ায়) সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড.

মো. ইলিয়াছ প্রামানিক। 

নির্বাচনে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনে সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার সচিব মো. আলী হাসান ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সদস্য মো. মাহফুজুল ইসলাম বকুল এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক।   

নবনির্বাচিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বেরোবি প্রতিনিধি মো. আবু সাঈদ , যুগ্ম সম্পাদক দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার মো. কামরুজ্জামান পুলক, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক দৈনিক কালের কণ্ঠ ও যুগের আলো পত্রিকার মো.আবুল খায়ের জায়ীদ, কোষাধ্যক্ষ ক্যাম্পাস বাংলা অনলাইন পোর্টালের আল আমিন সাদিক ছায়েম।

এছাড়া কার্যকরী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক সমকাল পত্রিকার মো. সাজ্জাদুর রহমান, এডুকেশন টাইমস এর প্রতিনিধি মো. আজিজুর রহমান, বাংলাভিশনের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মো. শরীফুল ইসলাম। 

সাধারণ সম্পাদক মো. ইমন আলী বলেন, যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমরা মুক্তচিন্তা ও লেখনীর মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপন করেছি সবসময়, এ ধারা অব্যাহত থাকবে । শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সবাইকে নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানাই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা বেরোবিসাস বদ্ধপরিকর।

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শুরুতে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার সহকর্মীদের যারা তাদের মূল্যবান ভোট প্রদানের মাধ্যমে আমাকে সভাপতি পদে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। সাংবাদিকতা একটা নীতি নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন পেশা। সাংবাদিকরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সমাজের অন্যায়, অসংগতি তুলে ধরেন। এ জন্যই সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ বলা হয়। আমরা জানি, তথ্যই শক্তি এই শ্লোগান সাথে নিয়ে’ ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বেরোবিসাস) যাত্রা শুরু হয়। সাংবাদিক সমিতির উদ্দেশ্যই হল তথ্যের কোলাবরেশন বা সমন্বয়ন করা। অর্থাৎ সবার থেকে সংগৃহীত তথ্য একত্রে করার মাধ্যমে ইনফরমেশন আরও শক্তিশালী করা। সর্বোপরি, আপনারা সাংবাদিক সমিতির পাশে থাকলে সামষ্টিক পরামর্শের ভিত্তিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি জাতির কাছে তুলে ধরতে পারবো।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব গম র ক য় হয় ছ ন ত হয় ছ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ে শহিদুল ইসলাম শহিদকে হত্যার মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। এ মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৩১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক গত বুধবার (৩০ জুলাই) আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। 

শনিবার (২ আগস্ট) চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব আহমেদ অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

চবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা কোনো মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।

২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় একাধিক পিস্তল, শটগানসহ ভারী অস্ত্র দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

এর আগে নিউ মার্কেট মোড়ে সমাবেশ করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে ষোলশহর মেয়র গলিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলা চালায়। এর পর বহদ্দারহাট মোড়-সংলগ্ন সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলা হয়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হন অটোরিকশাচালক শহিদ। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শহিদের ভাই শফিকুল ইসলাম চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন— চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুচ ছালাম, দিদারুল আলম দিদার, এস এম আল মামুন ও নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক, নুর মোস্তফা টিনু, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, জিয়াউল হক সুমন ও নুরুল আজিম রনিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আগামী ২৫ আগস্ট বাদীর উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগপত্রে ১২৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ জন সাধারণ মানুষ, ৯৯ জন পুলিশ ও ১ জন চিকিৎসক।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ