প্রশাসন থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 6th, February 2025 GMT
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রশাসনের বিভিন্ন পদ থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে পাঠান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সেখানে সাত দফা দাবি পেশ করা হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রধান গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদে পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন হয়েছে প্রক্টর, হল প্রশাসনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে। কিন্তু এসব পরিবর্তনের পরও এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। রহস্যজনক কারণে তাঁদের স্বীয় পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীদের পেশ করা দাবিগুলো হলো—বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তর থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণ। স্বৈরাচারের আমলে হওয়া নিয়োগের পুনর্বিবেচনা ও অযোগ্যদের চাকরিচ্যুতি। প্রশাসনে কর্মরত স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। সাবেক উপাচার্যের দুর্নীতিবাজ গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়েজ উল্যাহর শিক্ষাজীবন বিপন্নকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপাচার্য মুহাম্মদ ইসমাইল প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেকগুলো দাবি দিয়েছে। প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো তদন্তে এরই মধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব র চ র র দ সরদ র উপ চ র য ব যবস থ গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’