যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। মার্কিন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। এরপরে ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নিলেন।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের দুদিন পরেই ট্রাম্প এই নির্বাহী আদেশে সই করলেন।  

এর আগের মেয়াদেও ট্রাম্প নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলায় তিনি এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটি প্রত্যাহার করেন।

বিবিসির খবর বলছে, আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশে সই করার পর ট্রাম্প বলেন, আইসিসি অবৈধ। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ভিত্তিহীন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

মার্কিন নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে এই নির্বাহী আদেশের আওতায়।

আরও পড়ুনগাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে নিজের দলেই বিভক্তি৯ ঘণ্টা আগে

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে,  আইসিসি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করেছে। আইসিসির এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিনিরা বিপদে পড়েছে। মার্কিনিরা হয়রানি, খারাপ আচরণ ও গ্রেপ্তারের আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র বার বার সে দেশের কর্মকর্তা ও নাগরিকদের ওপর আইসিসির বিচারপ্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালনার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের১৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইস স র

এছাড়াও পড়ুন:

শূন্যের দুনিয়ায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ওপরে কেউ নেই

পাকিস্তান দলে সাইম আইয়ুবের ভূমিকাটা কী? এটা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হতে পারেন। কারণ, এই ওপেনার এশিয়া কাপে তিন ম্যাচ খেলে এখনো রানের দেখা পাননি। টানা তিন ম্যাচেই আউট হয়েছেন শূন্য রানে। অথচ এই সাইমই বল হাতে নিয়েছেন ৬ উইকেট—পাকিস্তান দলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি!

পাকিস্তান দলের কোনো ক্রিকেটারের টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। পাকিস্তানের আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ শফিক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা চারবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

সাবেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজও একবার টানা তিন শূন্যের তিতা স্বাদ পেয়েছেন। সেটি সাইমের মতোই ওপেনিংয়ে নেমে। এ দুজন ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ওপেনার হিসেবে টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

চলতি বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাইম শূন্য রানে আউট হয়েছেন পাঁচবার। চলতি বছর যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ এবং এই তালিকায় পাকিস্তান ওপেনারকে সঙ্গ দিচ্ছেন আরেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান—হাসান নেওয়াজ। তিনিও চলতি বছর পাঁচবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। হাসান (২২) যদিও সাইমের (১৭) চেয়ে ৫ ইনিংস বেশি খেলেছেন।

৫চলতি বছরে পাঁচবার শূন্যতে আউট হয়েছেন সাইম।

সাইম সব মিলিয়ে পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আটবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন, যা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১০বার পাকিস্তানের হয়ে শূন্য রানে আউট হয়েছেন উমর আকমল। আটবার শূন্য রানে আউট হয়ে সাইমের পাশে শহীদ আফ্রিদি। তবে আফ্রিদি খেলেছেন ৯০ ইনিংস, সাইম ৪৪।

আরও পড়ুনপাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো২ ঘণ্টা আগে

আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে ২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ২১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা ১১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। চলতি বছর বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চারবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন।

পারভেজ হোসেন চলতি বছর চারবার শূন্যতে আউট হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ