কিছুদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ উঠানামা করছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায়। হঠাৎ করে একদিনের ব্যবধানে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়ে ১০ ডিগ্রিতে। হঠাৎ এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে আবারও জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা। বিপাকে পড়তে হচ্ছে জেলার খেটে খাওয়া মানুষদের।

শুক্রবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। 
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জেলায় ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কমল ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। 

কয়েকদিন শীতের তীব্রতা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। 
তিনি বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। এরপর আবারও তাপমাত্রা বাড়বে। তবে শৈত্যপ্রবাহের আভাস এখনও জানায়নি ঢাকা অফিস৷ 

এর আগে, ৩১ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা দিনে কিছুটা গরম অনুভূতি হতে দেখা যায়। 

শহরের হকপাড়ার বাসিন্দা রিকশাচালক জালাল উদ্দিন বলেন, আমি রাতে রিকশা চালিয়ে উপার্জন করি। কয়েকদিন ঠান্ডা ছিল না খুব বেশি। হঠাৎ আজ রাত থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হাত-পা কাঁপুনি ধরে গেছে। প্রথমে মোটা কাপড় নিয়েছিলাম না। বাধ্য হয়েই মধ্য রাতে বাড়ি গিয়ে জ্যাকেট নিয়ে এসেছি। 

জেলা শহরের এক মুদি ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, খুব সকালেই দোকান খুলতে হয়। কয়েকদিন শীত কম ছিল। আজ থেকে হঠাৎ শীত বেড়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।

তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ