টটেনহ্যামকে উড়িয়ে দিয়ে লিগ কাপের ফাইনালে উঠলো লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে টটেনহ্যামকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে দলটি। প্রথম লেগে টটেনহ্যামের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধান জিতে কারাবাও কাপের ফাইনালে চলে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে আগামী ১৬ মার্চ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে অলরেডরা।

নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে লিভারপুলকে হারিয়েছিল টটেনহ্যাম। এরপর এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে লিভারপুরের মাঠ অ্যানফিল্ডে খেলতে আসে তারা। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এসে এমন গোহারা হারবে, সেটি ভাবনায়ও হয়তো ছিল না টটেনহ্যামের। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ম্যাচ শুরু করা লিভারপুলের প্রত্যাবর্তনের সূচনা হয় ৩৪ মিনিটে। মোহাম্মদ সালাহর ক্রস থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন কোডি গ্যাকপো। 

৫১ মিনিটে লিভারপুল তারকা দারউইন নুনিয়েজকে ফাউল করেন টটেনহ্যামের গোলরক্ষক অ্যান্টোনি কিনস্কি। এতে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। পেনাল্টি থেকে শক্তিশালী শটে স্বাগতিকদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন মোহাম্মদ সালাহ। ৭৫ মিনিটে লিভারপুরের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ডমিনিক সোবোৎলাই। ৮০ মিনিটে হেড থেকে চতুর্থ গোল করে টটেনহ্যামের পরাজয় (৪-০) নিশ্চিত করেন ফন ডাইক।

ম্যাচের পর টটেনহ্যাম তারকা পোস্টেকোগলু আইটিভিকে বলেন, ‘কঠিন রাত। লিভারপুল আমাদের চেয়ে অনেক ভালো খেলেছে। আমরা বল নিয়ন্ত্রণ ও খেলার গতি ধরতে পারিনি। আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারিনি। শুরু থেকেই লিভারপুলকে ছন্দে নিয়ে যেতে দিয়েছি। যা অ্যানফিল্ডে বিশেষভাবে বিপজ্জনক।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ