মানুষ কষ্টে আছে। কিন্তু রাজনীতির ডামাডোলে মানুষের কষ্টের কথাগুলো চাপা পড়ে যায়। চারদিকে শুধু সংস্কার আর নির্বাচনের কথা। এর মধ্যে চলছে নানান আন্দোলন ও আবদার। বিশ্ববিদ্যালয় দিতে হবে, চাকরি স্থায়ী করতে হবে, গ্রেড বদলাতে হবে, ক্যাডারে নিতে হবে কিংবা ক্যাডার থেকে বাদ দিতে হবে, মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে ইত্যাদি। এসব করতে অনেক টাকার দরকার। সরকারের টাকা নেই। জনগণের কষ্টের রোজগারের টাকা সরকারের টাকা নামে চালিয়ে দেওয়া হয়। যাঁরা আন্দোলন-আবদার করছেন, তাঁরা কি জানেন না যে এত কিছু চাইলে জনগণের ওপর কত চাপ পড়বে? এমনিতেই তো মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের অবস্থা ত্রাহি মধুসূদন!

দেশে একটা নতুন সরকার এসেছে। একটা গালভরা নাম দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আসলে এটা আর সব সরকারের মতোই। কথাবার্তায়, আচার-আচরণে কোনো ফারাক নেই। তাঁদের অনেকেরই এক বা একাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাড়ি আছে। কিন্তু প্রায় সবাই ‘সরকারি’ গাড়ি-বাড়ি’ নিয়েছেন। কাউকে বলতে শুনলাম না, আমার গাড়ি আছে, আমি সরকারি গাড়ি নেব না। এটা বলতে মেরুদণ্ড লাগে, গাটস লাগে। লাল ম্যাটের ওপর দাঁড়িয়ে তাঁরা ফিতা কেটে প্রকল্প উদ্বোধন করছেন, সাংবাদিকদের সামনে কথার তুবড়ি ছোটাচ্ছেন। ১৬ বছর এটা হয়নি, ওটা হয়নি বলে আক্ষেপ করছেন। এভাবে কত দিন যাবে?

অনেক মানুষ এখনো বিশ্বাস করেন, তাঁদের দেখভাল করার জন্য, তাঁদের মুশকিল আসান করতে কয়েক বছর পরপর আসমান থেকে দেবদূতেরা এসে হাজির হন। মন্ত্রীরাও এ রকম। এখন তাঁদের বলা হচ্ছে উপদেষ্টা। পদমর্যাদায় মন্ত্রী। পাকিস্তান আমলে বলা হতো উজির। তাঁরা কি জানেন না, সাধারণ মানুষের সমস্যা কী, প্রয়োজন কী, দাবি কী? তাঁরা তো একসময় ‘সাধারণের’ কাতারেই ছিলেন।

একটা সভ্য সমাজে টিকে থাকতে ও চলাফেরা করতে ন্যূনতম চারটি বিষয় লাগে—স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণপরিবহন ও নিরাপত্তা (আইনশৃঙ্খলা)। আমাদের দেশে এসব সব সময়ই ছিল অপর্যাপ্ত। এগুলোও এখন ধ্বংসের পথে, ব্যক্তি খাতে চলে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণপরিবহন এখন আর সামাজিক খাতে নেই। এগুলো মুনাফাখোরদের হাতে চলে গেছে। টাকা থাকলে এসব সেবা কেনা যায়। যাঁর টাকা নেই, তাঁর আল্লাহ ভরসা।

এ দেশের মুনাফাখোরেরা টাকার পেছনে দৌড়ালেও মানের দিকে নজর দেন না। মানসম্পন্ন সেবা দিয়েও যে মুনাফা করা যায়, এটি তাঁরা জানেন না বা মানেন না। যে লুণ্ঠনপ্রক্রিয়া এ দেশে চালু হয়েছিল পাঁচ দশক আগে, এখন তা সর্বব্যাপী। এ দেশে বুর্জোয়া শ্রেণি গড়ে ওঠেনি। তার বদলে তৈরি হয়েছে লুটেরা শ্রেণি, ‘লুম্পেন বুর্জোয়া’। তাঁরা কলকারখানা, মাঠ-ঘাট, নদী-নালা, পাহাড়-জলাভূমি সব খেয়ে ফেলেছেন। তারপরও তাঁদের পেট ভরেনি। শহরে পাখি নেই, নিশ্বাস নেওয়ার মতো এতটুকু বাতাস নেই, খাওয়ার মতো এক আঁজলা জল নেই, খেলাধুলার জন্য নেই এক টুকরা মাঠ। সব ছিনতাই হয়ে গেছে।

কত বছর ধরে শুনে আসছি, শহরে মানুষের তুলনায় রাস্তা কম, যানবাহন বেশি। ছোট গাড়িগুলো একজন বা দুজনকে নিয়ে শাঁই করে চলে যায়। অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে বড় গাড়ি চলাচল করলে মানুষের সুবিধা বাড়ে। যানজট কম হয়। এত বছরেও সেটির বাস্তবায়ন দেখলাম না। ঢাকা শহরে বিভিন্ন রুটে কয়েক হাজার ডাবলডেকার বাস নামিয়ে দিলে মানুষ আরাম পেত। কিন্তু পাবলিকের টাকায় সোফাসমেত গাড়ি চড়ে যাঁরা পোদ্দারি করেন, সিদ্ধান্ত তো নেন তাঁরা। সে জন্য গণপরিবহনের ব্যবস্থা হয় না। এক রুটের মেট্রোরেল দিয়ে বিগত সরকার যে তেলেসমাতি দেখাল, তার গন্ধ হাতে চেটে আর কত কাল কাটাবে মানুষ!

জননিরাপত্তা নিয়ে কী আর বলব? এক উপদেষ্টা বলেছেন, পুলিশের শতকরা ৮০ ভাগই নাকি ছাত্রলীগের ক্যাডার। তার মানে, জননিরাপত্তা নয়, তাঁদের নেতাকে সুরক্ষা দিতেই তাঁরা বেতন-ভাতা নিতেন। আমরা দেখলাম, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাস্তায় ট্রাফিক সামলেছেন ছাত্ররা। অভিজ্ঞতার অভাবে তাঁরা ছিলেন অনেকটা এলোমেলো। প্রশিক্ষণ পেলেই তাঁরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতেন। এই তারুণ্যকে কাজে লাগাতে পারত ইউনূস সরকার। সেটি হয়নি। পুলিশের অনেক লোক পলাতক ছিলেন। অনেকেই ফিরে আসেননি। ওই তরুণদের মধ্য থেকেই এক লাখ সদস্যকে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে পুলিশ বিভাগে নিয়োগ দেওয়া যেত। তাঁদের অনেকেরই ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে।  যখন যে কাজটি করতে হয়, তার সিদ্ধান্ত নিতে হয় চটজলদি। একটি বিপ্লবী সরকার থাকলে তা-ই হতো। সিদ্ধান্ত নিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগত না। নবিশরাই কালক্ষেপণ করে।

কথাবার্তায় মনে হয়, এই সরকারের প্রধান কাজ হলো অতীতের জঞ্জাল সাফ করা। অর্থাৎ গত ১৬ বছরে যে ময়লা জমেছে, তা পরিষ্কার করা। এখানেও একটা শুভংকরের ফাঁকি আছে। সমস্যাটা ১৬ বছরের নয়, এটি ৫৩ বছরের। শুধু অতীতের জাবর কাটলে তো জীবন চলবে না। তাকাতে হবে সামনের দিকে। আপনারা কাকে ধরবেন, কাকে ডান্ডাবেড়ি পরাবেন, কাকে ঝোলাবেন, সেটি নাহয় চলবে। কিন্তু ১০-২০ হাজার লোককে জেলে ঢোকালে আমাদের কী লাভ? আমরা তো ঘরের কাছের হাসপাতালে চিকিৎসা চাই। শেখ হাসিনা যেমন হাসপাতালে কারফিউ দিয়ে একা একা কাউন্টারে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার স্লিপ কেটে ডাক্তার দেখাতেন, সে রকম নয়। হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স থাকবেন, যন্ত্রপাতি থাকবে, চাওয়ামাত্র চিকিৎসা পাওয়া যাবে, এ রকম ব্যবস্থা নেই কেন? ওয়ার্ডবয়কে ঘুষ দিয়ে বেড নিতে হয় কেন?

বছরের শুরুতে সন্তানের স্কুলে ভর্তি নিয়ে মা-বাবার ঘুম হারাম হয়ে যায়। বছরের পর বছর কি এমন চলতে থাকবে? দেশের প্রাথমিক শিক্ষার বারোটা বেজে গেছে। আর আপনারা একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করছেন? বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার যে মান, তাদের বিদেশে তো দূরের কথা, দেশে চাকরি মেলাই ভার। এরা তো অনেকে ঠিকমতো কথাই বলতে পারে না?

দেশে সংস্কার দরকার। এটা আজ নয়, স্বাধীনতার পর থেকেই দরকার ছিল। কিন্তু আমাদের শাসকেরা শুধু নিজের, পরিবারের আর গোষ্ঠীর স্বার্থ দেখেছেন, সাধারণ মানুষের কথা ভাবেননি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর পরিবহন সেক্টর তুলে দিয়েছেন প্রাইভেট মাফিয়ার হাতে। একটা উদাহরণ দিই। এ দেশের নেতা, এমপি, মন্ত্রীরা নিজ এলাকায় যথেচ্ছ স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বানিয়েছেন, নিজের কিংবা বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ির নামে। তারপর সেগুলো এমপিওভুক্ত করিয়েছেন। এমপিওভুক্ত হলে সরকারি কোষাগার থেকে শিক্ষকদের জন্য বেতনের টাকা পাওয়া যায়। তো তাঁরা ইচ্ছেমতো তাঁদের আত্মীয়স্বজন ও খিদমতগারদের ওই সব প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়েছেন। এখন তাঁরা অনেকেই দাবি করছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। এসব দাবি মানার আগে যাচাই করে দেখা দরকার ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্ম-ইতিহাস।

পাঁচ হাজার ডাবলডেকার বাস আমদানি করতে কত টাকা লাগে? কত দিন লাগে? সরকার চাইলে কত কি না পারে। এ দেশে দুষ্টচক্রের মতো পরিবহন মাফিয়া তৈরি হয়েছে। সব সরকার সেগুলো নিজেদের গোষ্ঠীস্বার্থে লালন–পালন করেছে। এই মাফিয়া না ভাঙতে পারলে নতুন পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো পাবলিকের টাকায় গাড়ি, তেল, ড্রাইভার ব্যবহার করতে করতে যাঁরা আকারে-প্রকারে বড় হয়েছেন, তাঁরা কি আদৌ গণপরিবহনের কথা ভাবেন?

আপনারা যথেচ্ছ রাজনীতি করুন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথাও একটু ভাবুন। মানুষ শুধু ভোটার নয়, আন্দোলনে কামানের খোরাক নয়। দেশ মানেই মানুষ। মানুষের জন্যই রাষ্ট্র, সংবিধান, সরকার। মানুষ একবার খেপে গেলে কেউই রক্ষা পায় না। এটা আমরা দেখেছি একাত্তরের মার্চে, চব্বিশের আগস্টে।

মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র র র জন য করছ ন দরক র বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

৯ ঘণ্টা ধরে শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং দ্রুত স্থায়ী বিধানে যুক্ত করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় ৯ ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে রেখেছেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের (আহত) ব্যানারে তাঁরা এ ‘অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করছেন।

রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতে। এসব সড়কে দিনভর ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। ফলে বৃষ্টির মধ্যে জীবনের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে চলে গণপরিবহন, অনেক যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে হেঁটে হেঁটে। বিশেষ করে অফিসফেরত মানুষকে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

বেলা ১১টায় শাহবাগ মোড়ের সঙ্গে যুক্ত সব সড়কের মুখ আটকে দিয়ে সড়কের মাঝখানে অবস্থান নেন অবরোধকারীরা। এ সময় তাঁরা জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবি জানান। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুলাই যোদ্ধা সংসদ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম ওই কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়। এ সময় অবরোধকারীরা ‘জুলাই নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘জুলাইয়ের চেতনা দিতে হবে ঘোষণা’, ‘জুলাই সনদ দিতে হবে, দিতে হবে, দিতে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।

বন্ধ হয়ে পড়ে শাহবাগ থেকে ফার্মগেট, সায়েন্স ল্যাব ও গুলিস্তানগামী প্রধান সড়কগুলোও। ফলে সকাল থেকেই এসব এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এসব সড়কে চলাচলকারী গণপরিবহনগুলো বিকল্প পথে চলাচল করে।

বেলা তিনটার দিকে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ–সংলগ্ন মূল সড়কে পুলিশের ব্যারিকেড ও বাঁশ ব্যবহার করে সড়ক আটকে রেখেছেন অবরোধকারীরা। শাহবাগ থানার সামনের সড়কেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন তাঁরা।

বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ষাটোর্ধ্ব নূরে আলম বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে যাব। কোনো বাস পাচ্ছি না। রিকশায় যে কিছু দূর যাব, তারাও ভাড়া বেশি চাচ্ছে।’ একপর্যায়ে হেঁটেই রওনা দেন তিনি।

এক পথচারী ইমরান হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই দিন পরপর সড়ক অবরোধ হয়। এর ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের।’

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হতে দেখা যায় মোটরবাইক আরোহীদের। শাহবাগ থানার সামনে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে বাধা দিলে চালক বলেন, ‘এত দাবিদাওয়া এত দিন আছিলো কই।’ তবে গণপরিবহন আটকে দেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যানবাহন এবং তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স শুরু থেকেই চলাচল করতে দেখা গেছে।

অবরোধকারীদের দাবি

অবরোধকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি; শহীদ পরিবার ও আহতদের আজীবন সম্মান; চিকিৎসা, শিক্ষা ও কল্যাণের পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করা; শহীদ পরিবার ও আহতদের প্রতি দায়িত্ব গ্রহণ করা; আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান ও কল্যাণমূলক ব্যয় রাষ্ট্রকে বহন করা; আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য আজীবন সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করা; শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বিশেষ আইনি সুরক্ষা ও সহায়তাকেন্দ্র গঠন করা; শহীদ ও আহতদের ওপর সংগঠিত দমন-পীড়নের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচারকাজ সম্পন্ন করা এবং একটি স্বাধীন সত্য ও ন্যায় কমিশন গঠন করা।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মনসুর বলেন, সকাল থেকেই শাহবাগে অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শাহবাগ থানা-পুলিশ আলোচনার মাধ্যমে অবরোধকারীদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

তবে জুলাই যোদ্ধা সংসদের মুখ্য সংগঠক মাসুদ রানা জানান, তাঁদের আন্দোলন চলছে। সনদ ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাঁরা এখানেই থাকবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৯ ঘণ্টা ধরে শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে