ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
Published: 7th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সি সেসা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশি যুবকদের কর্মসংস্থান, বিদেশে শ্রমবাজার অন্বেষণ, তৈরী পোশাক খাতের প্রসার, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়, ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ ক্রীড়াপ্রেমী। ফুটবল বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় খেলা। আর্জেন্টাইন ফুটবলের বড় সমর্থক গোষ্ঠী বাংলাদেশে আছে। গত ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের এই সমর্থনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়, ক্রীড়া সেক্টরসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। আমরা কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পরিবেশ ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক কাজী আনারকলি, পরিচালক তারিক হাসান, সহকারী সচিব সিয়াম রহমানসহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকা/এএএম/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’