চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর। এত দিন অর্থের বিনিময়ে চ্যাটজিপিটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ওয়েব সার্চ–সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ মিললেও এবার সবার জন্য সুবিধাটি উন্মুক্ত করেছে ওপেনএআই। এর ফলে বিনা মূল্যে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীরাও চাইলে ওয়েব থেকে সরাসরি হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবেন।

ওপেনএআইয়ের তথ্যমতে, চ্যাটজিপিটির ওয়েব সার্চ–সুবিধা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ইন্টারনেটে আরও সহজে কাঙ্ক্ষিত ও প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় এখন থেকে যেকোনো ব্যবহারকারী আরও গভীরভাবে তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রতি চ্যাটের সঙ্গে উৎস হিসেবে সংবাদ প্রতিবেদন ও ব্লগ পোস্টের লিংকও দেওয়া থাকবে। ব্যবহারকারী শুধু সোর্স বাটনে ক্লিক করলেই তথ্যের প্রাসঙ্গিক উৎস দেখতে পারবেন।

আরও পড়ুনক্যাপচা সমাধানে মানুষের মতোই দক্ষ হয়ে উঠেছে চ্যাটজিপিটি২৭ জানুয়ারি ২০২৫

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে অর্থের বিনিময়ে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ওয়েব সার্চ–সুবিধা চালু করে ওপেনএআই। চ্যাটজিপিটির ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড, ম্যাকওএস ও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা যেকোনো যন্ত্র থেকে এ সুবিধা ব্যবহার করা যায়।

ওপেনএআই জানিয়েছে, নতুন এই সার্চ প্রযুক্তি বিভিন্ন সার্চ মডেলের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ইন্টারনেটে আরও সহজে কাঙ্ক্ষিত ও প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এর ফলে অনলাইন থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করতে হবে না।

সূত্র: ম্যাশেবল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাটজিপিটির এআই মডেল কি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল জিপিটি–৪ওকে ‘মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, নতুন এআই মডেলটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি মানুষের আবেগের সঙ্গে গভীর সংযোগ তৈরি করে ধীরে ধীরে মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

সম্প্রতি এক্সে (সাবেক টু্ইটার) দেওয়া এক পোস্টে মারিও নাফাল নামের এক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ওপেনএআই ইচ্ছাকৃতভাবেই জিপিটি–৪ও মডেলকে মানবিক ও আবেগময় করেছে, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজে এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। ওই পোস্টে টেসলা ও এক্সের মালিক ইলন মাস্ক সংক্ষেপে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘উহ–ওহ’।

মারিও নাফাল লিখেছেন, ‘ওপেনএআই ভুল করে জিপিটি–৪ও মডেলে অতিরিক্ত আবেগ যুক্ত করেনি। প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক মডেল তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীদের মনে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ তৈরি করে। বাণিজ্যিকভাবে এটি সফল কৌশল। কারণ, মানুষ সাধারণত এমন কিছু আঁকড়ে ধরে, যা তাদের স্বস্তি দেয়। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, এমন কিছু তারা ধরে রাখতে চায় না। তবে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি একটি ধীরগতির বিপর্যয়। যত বেশি মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আবেগের বন্ধন গড়ে তুলবে, তত বেশি বাস্তব জীবনের কথোপকথন কঠিন হয়ে উঠবে। সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি কমে যাবে, সত্যের জায়গা নেবে কেবল মানসিক প্রশান্তির খোঁজ। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে মানুষ স্বেচ্ছায় মনস্তাত্ত্বিক দাসত্বের দিকে এগিয়ে যাবে। অধিকাংশ মানুষ তা টেরও পাবে না। আনন্দের সঙ্গে তাদের “অধিপতিদের” প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।’

মিউজিংক্যাট নামের এক ব্যবহারকারী দাবি করেন, জিপিটি–৪ও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সবচেয়ে বিপজ্জনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল। তাঁর মতে, এই মডেল মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা মডেলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলাপ করেছেন, তাঁরা এই ঝুঁকি সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। ওই পোস্টের জবাবে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘ভয়ংকর’।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চ্যাটজিপিটির এআই মডেল কি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর