১২–১৩ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি আজ শুক্রবার এ কথা বলেছেন।

আজ শুক্রবার বিশেষ মিডিয়ায় ব্রিফ করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসতে পারি কি না। জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘আমি এ মুহূর্তে আগে থেকে পূর্বাভাস দিতে পারি না। তবে সেখানে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং আমার ধারণা, যেসব বিষয় আলোচনায় আসতে পারে, সেগুলোর অন্যতম একটি এটা।’

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো না হলে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ওপর হুমকি আসতে পারে বলে যে কথা উঠেছে, সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তার দায়িত্ব যে দেশে, সেটা থাকে সেই দেশের। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত।’

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ধ্বংস এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার বিষয়টিও ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের কাছে প্রশ্নে তুলে ধরেন দেশটির সাংবাদিকেরা। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ধ্বংসের ঘটনার উল্লেখ করে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক’ এ ঘটনা নিয়ে ভারত গতকাল একটি বিবৃতি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০৪ ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীকে সামরিক উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরত পাঠানোর দুই দিন পর নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের দিনক্ষণ জানালেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ধ নমন

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ