বৈচিত্র্যময় আয়োজনে মুখর সন্ধ্যা
Published: 7th, February 2025 GMT
সাংগঠনিক নানা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আর সন্ধ্যায় বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন। শুক্রবার সকাল নয়টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শুরু হয় সম্মেলনের সাংগঠনিক বা কাউন্সিল অধিবেশন।
দিনব্যাপী নানা সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার পর সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্ব। উদীচী নৃত্য বিভাগের শিল্পীদের দলীয় পরিবেশনা দিয়ে শুরু হওয়া এ পর্বে ছিল উদীচী যশোর জেলা সংসদের পরিবেশনায় গীতি-আলেখ্য। দলীয় গণসংগীত নিয়ে মঞ্চে আসেন উদীচী সিলেট জেলা সংসদের শিল্পীরা।
এ ছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন মীর সাখাওয়াত। একক আবৃত্তিতে ছিলেন বেলায়েত হোসেন ও সৈয়দ ফয়সল আহমদ। উদীচী আবৃত্তি বিভাগের বাচিক শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘জাগবার দিন আজ’ শীর্ষক বৃন্দ পরিবেশনা। পর্বটি সঞ্চালনা করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংসদের সম্পাদক সুরাইয়া পারভীন ও সদস্য সৈয়দা অনন্যা রহমান।
শনিবার সকাল নয়টায় শুরু হবে সম্মেলনের তৃতীয় ও সমাপনী দিনের কার্যক্রম। সারা দিন নানা সাংগঠনিক পর্ব শেষে পরবর্তী দুই বছরের জন্য নতুন কেন্দ্রীয় সংসদ গঠনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উদীচীর এবারের জাতীয় সম্মেলন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সম্মেলন উদ্বোধন করেন উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেনের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রবীণ কৃষকনেতা লীনা চক্রবর্তী। তিন দিনব্যাপী উদীচীর এবারের জাতীয় সম্মেলনের স্লোগান, ‘আমরা তো লড়ছি সমতার মন্ত্রে, থামব না কখনোই শত ষড়যন্ত্রে’।
১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর প্রতিষ্ঠার পর থেকে সৃজনশীল মাধ্যমে সমাজের নানা অসংগতি, শোষণ-বঞ্চনা, অত্যাচার-নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছে উদীচী। প্রতি দুই বছর পরপর জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করে উদীচী।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’