সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ঢাকায় নিযু্ক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলবের পরের দিন শুক্রবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নুরাল ইসলামকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক টুইট বার্তায় জানানো হয়।

এই টুইট বার্তায় বলা হয়, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠৃনমূলক এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্ক চায়, যা সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বেশ কয়েকবার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। যাইহোক, এটা দুঃখজনক যে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত বিবৃতি ভারতকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য আমাদের দায়ী করছে। বাংলাদেশের দেওয়া এসব বক্তব্য আসলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্রমাগত নেতিবাচকতার জন্য দায়ী।

সেখানে আরও বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা মন্তব্যগুলো তার ব্যক্তিগত, যাতে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। এটিকে ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচকতা যোগ করতে সাহায্য করবে না।

টুইটের শেষাংশে বলা হয়, ভারত সরকার একটি পারস্পরিক কল্যাণকর সম্পর্কের জন্য প্রচেষ্টা চালাবে এবং আমরা আশা করি, বাংলাদেশ পরিবেশকে খারাপ না করে একইভাবে চেষ্টা চালাবে।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।

শনিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন টাইগার শার্ক মহড়া। এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, টহল, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন, সাঁতার, ডুবসাঁতার এবং ক্লোজ কোয়ার্টারস কমব্যাটসহ বিভিন্ন সমন্বিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত) ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, ‘এই যৌথ সামরিক মহড়া নিরাপদ, শক্তিশালী ও আরও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বেরও প্রতীক।’

কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টাইগার শার্কে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ পরিকল্পনা সেশন এবং কৃত্রিম অনুশীলন পরিবেশে প্রশিক্ষণ। এসব কার্যক্রম ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গঠনে সহায়তা করা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম যুদ্ধ কমান্ড, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ