ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আলমগীর মোল্যা (৪০) নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৭-৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ইউপি সদস্যকে হামলার ঘটনায় প্রতিপক্ষের চারটি বসতবাড়ি, একটি মোটরসাইকেল, একটি পিকআপ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

শনিবার সকালে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামেরদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য আলমগীর মোল্যা ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলী মাতুব্বরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে। গত ২৫ ডিসেম্বর তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনার জেরে আজ সকালে আলমগীর মোল্যা মোটরসাইকেল চালিয়ে ভাঙ্গা যাওয়ার সময় পথে তার গতিরোধ করে প্রতিপক্ষের লোকজন, অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাকে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৭-৮ জন আহত হয়। আহতরা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। গুরুতর আহত ইউপি সদস্যকে প্রথমে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মোকছেদুর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে  হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক প য় জখম স ঘর ষ স ঘর ষ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ

স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গেপ্তার ২
  • বিএনপির সঙ্গে চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
  • নাটক প্রকাশ নিয়ে নিলয়ের ক্ষোভ, যা জানাল দীপ্ত কর্তৃপক্ষ
  • শিল্পী-নির্মাতাকে না জানিয়ে ইউটিউবে নাটক প্রকাশ, নিলয়ের ক্ষোভ
  • শিল্পী-নির্মাতাকে না জানিয়ে নাটক রিলিজ, নিলয়ের ক্ষোভ
  • চাকরির নামে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
  • বিদেশে চাকরির নামে যুবকদের পাঠানো হতো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, চক্রের ‘হোতা’ গ্রেপ্তার
  • ঈদ পুনর্মিলনীর নামে বিএনপির আয়োজনে আ.লীগের মিলনমেলার অভিযোগ