সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

২০২৫ সালে বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। চার ধাপ এগিয়ে বর্তমানে রয়েছে ৯৩তম অবস্থানে। বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে আছে লিবিয়া ও ফিলিস্তিন। এই তিন দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৩৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জানা গেছে, সূচকের প্রথম অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ১৯৩টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন।

অন্যদিকে, সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ৭টি দেশ। দেশগুলো হলো ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন। দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন।

সূচকের তৃতীয় অবস্থানের ন্যায় ৪র্থ অবস্থানেও আছে ৭টি দেশ। দেশগুলো হলো লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, নরওয়ে, পর্তুগাল, সুইডেন ও বেলজিয়াম। এই সাতটি দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৮টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন।

এ ছাড়া ৫ম অবস্থানে রয়েছে তিনটি দেশ। গ্রিস, নিউজিল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৭টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। আর সূচকে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন ১৮৬টি দেশে।

অপরদিকে, সপ্তম অবস্থানে থাকা কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, মাল্টা ও পোল্যান্ডের পাসপোর্টধারীরা ১৮৫টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।

সূচকে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও এস্তোনিয়া। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন ১৮৪টি দেশে।

সূচকে নবম অবস্থানে রয়েছে ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এই পাঁচ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন।

দশম অবস্থানে থাকা আইসল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন ১৮২টি দেশে।

প্রসঙ্গত, গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৭তম। অর্থাৎ এবার দেশটি চার ধাপ এগিয়েছে। তার আগে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৮তম।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ভ রমণ করত অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ