৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ
Published: 8th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সংবিধানসহ ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে আলাদা আলাদা ছয়টি ফাইলে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ছয়টি কমিশন হলো- সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করে সরকার।
গত ১১ সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়া ছয়টি সংস্কারে কমিশনের মধ্যে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয় সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে। পুলিশ সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র সচিব সফর রাজ হোসেনকে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব পান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। দুদক সংস্কার কমিশনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড.
আবার এই কমিশনগুলোর প্রধানদের নিয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যেটির প্রধানের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সদস্য সচিব হন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
এর আগে, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐতমত্যে পৌঁছাতে একটি বৈঠক শুরু হবে। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. ইউনূস।
বৈঠকে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। তবে, রাজনৈতিক দলগুলো রাজি থাকলে এ আলোচনা পবিত্র রমজান মাস পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়া যাবে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট র জন ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কিছু রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে ফাঁদে পড়েছে: জাপা মহাসচিব
কিছু রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে ফাঁদে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তবে কারা, সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে রংপুর নগরের সেন্ট্রাল রোডে জাপা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শামীম হায়দার পাটোয়ারী এ মন্তব্য করেন।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দল ইতিমধ্যে ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে বা স্বাক্ষর করে একধরনের ফাঁদে পড়ে গেছে। কিছু রাজনৈতিক দল বলছে, ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে। এখানে প্রতারক ও প্রতারণা শব্দটি উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু আমরা তো এ রকম সংস্কার চাইনি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ঐকমত্য তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে জাপা মহাসচিব বলেন, কমিশন ৫৬টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি দলকে বাদ দিয়েছে। যে দলগুলো সেখানে গেছে, তাদের মধ্যে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে মতবিরোধ আছে। এক ভাগকে ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, আরেক ভাগ ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ করেছে। অন্য আরেক ভাগ ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে পরে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করেছে।
বর্তমান প্রশাসনিক কাঠামো বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির বলে দাবি করেছেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। কারণ, নির্বাচিত সরকার সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট করেছে ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। এই মুহূর্তে দেশে যে প্রশাসনিক কাঠামো আছে, তার ব্যাপারে তথ্য উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, তাঁরা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কথামতো প্রশাসন সাজিয়েছে, তার সঙ্গে এনসিপি আছে। এই তিন দলের বাইরে অন্য কোনো দল যদি ভোটে আসে, এই প্রশাসনিক কাঠামো সেই দলকে সুষ্ঠু ভোট হতে দেবে না।
গণভোটের দাবি নজিরবিহীন উল্লেখ করে শামামী হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সংবিধানে এই মুহূর্তে গণভোট কোনো প্রভিশনে নেই। বর্তমানে গণভোটের যে দাবি উঠেছে, সংসদে পাস হওয়ার আগে এই দাবি বাস্তবায়ন হলে ঐকমত্য কমিশনকে সংসদের মর্যাদা দেওয়া হবে। ঐকমত্য কমিশন সার্বভৌম নয়, নির্বাচিত নয় ও সংসদ নয়। সংসদকে এড়িয়ে গিয়ে কোনো আইন পাস করা হলে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।
এ সময় জাপার কো–চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, রংপুর জেলার আহ্বায়ক আজমল হোসেন, সদস্যসচিব হাজী আবদুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামানসহ জাপা ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।