বয়স ৬৬। মাকসুদ মাহমুদ আলী ওরফে লাকী আলী বলিউডের সুপরিচিত সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা। ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবিতে ‘এক পল কা জিনা’ গানটি তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। সঙ্গে ছিল হৃতিক রোশনের নাচ। তবে শুধু এই গান নয়, আরও অনেক গানেই শ্রোতাদের মাতিয়ে রেখেছেন শিল্পী। সম্প্রতি ছবিটি মুক্তির ২৫ বছর পূর্ণ হলো। একটি অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর স্বপ্ন কী? জবাবে তিনি জানান, আবার বিয়ের বাসনা রয়েছে তাঁর। খবর পিঙ্কভিলার

ওই অনুষ্ঠানে লাকীর উত্তর অনেকেই চমকে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন যে আমি আবার বিয়ে করব।’ আগে তিনবার বিয়ে করেছিলেন লাকী। এখন চতুর্থবার বিয়ের জন্য আগ্রহী তিনি। সাবেক স্ত্রীরা প্রত্যেকেই বিদেশিনী। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলীয় মেঘন জেন ম্যাকলেরির সঙ্গে প্রথমবার ঘর বাধেন লাকী। বছর কয়েক সংসার করার পর পথ আলাদা হয় দুজনের।

এরপর ২০০০ সালে আনাহিতা নামের এক পার্সি নারীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন। এই বিয়েও বেশি দিন টেকেনি। বিবাহবিচ্ছেদ হয় জুটির।

আরও পড়ুনমা-বাবা বড় তারকা, আলোচনায় থাকা কে এই তরুণ অভিনেত্রী০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তারপর এক মডেল, কেট এলিজাবেথ হালামের সঙ্গে সম্পর্কের সূচনা। ২০১০ সালে বিয়ে সারেন তাঁরা। কিন্তু সাত বছর যেতে না যেতেই এবারও ঘর ভাঙল দুজনের।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ