বাস কাউন্টার দখল নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ
Published: 8th, February 2025 GMT
বরগুনার আমতলীর দূরপাল্লার ইউনিক বাস কাউন্টারের পাল্টাপাল্টি দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১১ জন। শনিবার দুপুরে আমতলী পৌরসভার বটতলায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর বটতলায় অবস্থিত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পরিবহনের সব কাউন্টার চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের পটুয়াখালী ও বরিশাল নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার বটতলায় পরিবহন ইউনিক কাউন্টারের দখল নিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার এবং পৌর বিএনপি ও যুবদলের আহ্বায়ক কবির ফকিরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষ রামদা ও লাঠিসোটা ব্যবহার করে। সংঘর্ষে বটতলা থেকে নতুন বাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতঙ্কিত লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে চলে যান ব্যবসায়ীরা। বাঁধঘাটে মোশারেফ হোসেন নামের একজনের ওপর ধানের আড়তে হামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর আমতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার শতাধিক বাস কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন– ফরহাদ ফকির (৩২), রাহাত ফকির (২৮), মিজানুর রহমান মোল্লা (৪৮), সাইফুল ইসলাম (৩৮), বায়েজিদ (৩০), আলী হোসেন (৩২), মো.
আহতদের প্রথমে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে আটজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতাল এবং তিনজনকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুরুতর আহত মিজানুর রহমান মোল্লার ভাষ্য, তিনি বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে দাঁড়ানো ছিলেন। এ সময় সামসুল হক চৌকিদারের লোকজন এসে রামদা দিয়ে তাঁকে কোপানো শুরু করে।
এ বিষয়ে সামসুল হক চৌকিদার বলেন, ইউনিক কাউন্টার তাঁর। এ নিয়ে দুই দফা সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তারপরও শুক্রবার রাতে কবির ফকিরের লোকজন কাউন্টারের তালা ভেঙে ল্যাপটপ ও টিকিট নিয়ে যায়। আজ (শনিবার) দুপুরে তারা আবার কাউন্টার দখলে গেলে তাদের (সামসুল হক চৌকিদার পক্ষ) লোকজন বাধা দেয় এবং তাদের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে। রামদার কোপে তাঁরও ডান হাতের একটি আঙুল কেটে গেছে।
এসব দাবি ও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কবির ফকির বলেন, ইউনিক কাউন্টার তাদের (কবির ফকির) পক্ষের লোকজনের। তাদের লোকজন কাউন্টার চালাচ্ছিলেন। দুপুরে সামসুল হক চৌকিদার দুই থেকে আড়াইশ ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইউনিকসহ বিআরটিসি কাউন্টার দখল নিতে গেলে তাদের লোকজন বাধা দেয়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। মামলা হলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বরগ ন ব এনপ স ঘর ষ র ল কজন স ঘর ষ র দখল দখল ন ইউন ক
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
প্রকারভেদ
কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—
মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।
শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।
সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।
কেন করা হয়?
এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—
কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।
সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।
কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।
কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
ডিপ্রেশন বা হতাশা
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া
আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
আত্মহত্যার প্রবণতা
শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া
ওজন বেড়ে যাওয়া
হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।
প্রতিরোধের উপায়
ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)