পাসপোর্ট সূচকে চার ধাপ এগোল বাংলাদেশ
Published: 9th, February 2025 GMT
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশিত সূচকে তথ্য অনুযায়ী, পাসপোর্টের শক্তির সূচকে চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশে। ১৯৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৩তম স্থানে উঠে এসেছে। তবে আগাম ভিসা না নিয়েও যাওয়া যায় এমন দেশের সংখ্যা কমেছে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য। ২০২৪ সালে যেখানে ৪২টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যেত, সেখানে এ বছর তা কমে ৩৯টিতে দাঁড়িয়েছে।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কোনো দেশের পাসপোর্ট দিয়ে আগাম ভিসা ছাড়া কিংবা ভিসামুক্ত সুবিধা নিয়ে কতটি দেশে যাওয়া যায়, এর ওপর ভিত্তি করে শক্তিশালী পাসপোর্টের এ সূচক তৈরি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্য। গত বছর ৯৭তম স্থানে থাকা বাংলাদেশ র্যাংকিংয়ে উন্নতি করলেও, বৈশ্বিক অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট এখনো দুর্বল অবস্থানে আছে। এই তালিকায় নেপাল ৯৪তম এবং ৯৬তম স্থানে আছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসেবে তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা ১৯৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। এরপরই রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি গন্তব্যে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন। জার্মানি, ফ্রান্স এবং স্পেনসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ রমণ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’