Samakal:
2025-11-03@22:32:35 GMT

সভাপতির দিকে তাকিয়ে মেয়েরা

Published: 9th, February 2025 GMT

সভাপতির দিকে তাকিয়ে মেয়েরা

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের অনুরোধেও শনিবার অনুশীলনে যোগ দেননি বিদ্রোহ করা ১৮ নারী ফুটবলার। দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুরোধে সাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল বলেই মনে করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী ফুটবলার। 

কোচ পিটার বাটলার যে আগের মতো বাজে আচরণ করবেন না, তার গ্যারান্টি নাকি ফেডারেশন থেকে দেওয়া হয়নি– এমন দাবিই গতকাল সমকালের কাছে তুলে ধরেছেন ওই ফুটবলার, ‘ধরেন আমরা ট্রেনিংয়ে গেলাম। আমরা তো ছয়-সাত মাস ধরে তাঁর (বাটলার) সঙ্গে ছিলাম। আমরা তো জানি তাঁর চরিত্র কেমন। সবকিছু ভুলে গেলাম, মেনে নিলাম। গ্যারান্টি কি আছে, তিনি আমাদের সঙ্গে এমন করবেন না? গ্যারান্টি তো নেই। আমাদের এমন কমিটমেন্ট দিতে হবে। আমাদের সঙ্গে ভালোভাবে বসে এটার নিশ্চয়তা দিতে হবে, তিনি এগুলো করবেন না। আমাদের সঙ্গে তো তা করা হয়নি। তাঁর (সভাপতি তাবিথ আউয়াল) সম্মানের দিক দিয়ে যদি বিবেচনা করি, তাহলে আমাদের ট্রেনিংয়ে যাওয়া উচিত ছিল। আমাদের ভালোর দিক বিবেচনা করলে ট্রেনিংয়ে যাওয়াটা খারাপ। এখন আমরা কোথায় যাব? আমরা এখন সমুদ্রে ভাসছি।’

ওই নারী ফুটবলারের দাবি, তারা অনুশীলনে যোগ দিলে হেরে যাবেন, ‘আমরা যদি অনুশীলনে যাই, তাহলে তো বিচার সমান হচ্ছে না। আমাদের সমস্যাগুলো তো আমরা বলেছি। এখন সভাপতি স্যারের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছি।’ 

২৬ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চ আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে আন্দোলন করা মেয়েদের বিবেচনা করা হচ্ছে না। বিষয়টি দৃষ্টিপাত করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ফুটবলারের জবাব, ‘তারা আমাদের চাচ্ছে না, নতুন টিম গঠন করবে। নতুনদের সুযোগ দেওয়ার দরকার মনে করছে তারা। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। তারা পরিকল্পনা করছে ফুটবলের ভালোর জন্য। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের গুরুত্ব যদি দেওয়া হতো, তাহলে অনেক আগেই দেওয়া হতো। এই সমস্যা শুধু আজ-কালের না, এটা অনেক আগের। স্যার অনুরোধ করেছেন আমাদের ট্রেনিংয়ে যেতে, কিন্তু একটা তো সমাধান প্রয়োজন।’

শেষ পর্যন্ত চুক্তিতে না নেওয়া এবং আমিরাত সফরের দলে না রাখলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যাওয়ার বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। একুশে পদকের জন্য মনোনীত হওয়া নারী ফুটবল দল সেই কাজটি করবেন না বলে জানান দলের অন্যতম সেরা এ তারকা, ‘বাফুফে যদি ভালো একটা সমাধান দেয়, তাহলে উচ্চ পর্যায়ে কেন যাব? আমরা বাফুফের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তাদের বিরুদ্ধে যাব না। আমরা তো বাফুফের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি, সব বলেছি কোচের বিরুদ্ধে। আত্মসম্মানের জন্য, ফুটবলের ভালোর জন্য আন্দোলন করছি। কোনো কারণ ছাড়াই ১৮ জন মেয়ে তো কোচের বিরুদ্ধে যেত না।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল র করব ন ন আম দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ