Samakal:
2025-08-02@11:02:50 GMT

সভাপতির দিকে তাকিয়ে মেয়েরা

Published: 9th, February 2025 GMT

সভাপতির দিকে তাকিয়ে মেয়েরা

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের অনুরোধেও শনিবার অনুশীলনে যোগ দেননি বিদ্রোহ করা ১৮ নারী ফুটবলার। দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুরোধে সাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল বলেই মনে করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী ফুটবলার। 

কোচ পিটার বাটলার যে আগের মতো বাজে আচরণ করবেন না, তার গ্যারান্টি নাকি ফেডারেশন থেকে দেওয়া হয়নি– এমন দাবিই গতকাল সমকালের কাছে তুলে ধরেছেন ওই ফুটবলার, ‘ধরেন আমরা ট্রেনিংয়ে গেলাম। আমরা তো ছয়-সাত মাস ধরে তাঁর (বাটলার) সঙ্গে ছিলাম। আমরা তো জানি তাঁর চরিত্র কেমন। সবকিছু ভুলে গেলাম, মেনে নিলাম। গ্যারান্টি কি আছে, তিনি আমাদের সঙ্গে এমন করবেন না? গ্যারান্টি তো নেই। আমাদের এমন কমিটমেন্ট দিতে হবে। আমাদের সঙ্গে ভালোভাবে বসে এটার নিশ্চয়তা দিতে হবে, তিনি এগুলো করবেন না। আমাদের সঙ্গে তো তা করা হয়নি। তাঁর (সভাপতি তাবিথ আউয়াল) সম্মানের দিক দিয়ে যদি বিবেচনা করি, তাহলে আমাদের ট্রেনিংয়ে যাওয়া উচিত ছিল। আমাদের ভালোর দিক বিবেচনা করলে ট্রেনিংয়ে যাওয়াটা খারাপ। এখন আমরা কোথায় যাব? আমরা এখন সমুদ্রে ভাসছি।’

ওই নারী ফুটবলারের দাবি, তারা অনুশীলনে যোগ দিলে হেরে যাবেন, ‘আমরা যদি অনুশীলনে যাই, তাহলে তো বিচার সমান হচ্ছে না। আমাদের সমস্যাগুলো তো আমরা বলেছি। এখন সভাপতি স্যারের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছি।’ 

২৬ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চ আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে আন্দোলন করা মেয়েদের বিবেচনা করা হচ্ছে না। বিষয়টি দৃষ্টিপাত করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ফুটবলারের জবাব, ‘তারা আমাদের চাচ্ছে না, নতুন টিম গঠন করবে। নতুনদের সুযোগ দেওয়ার দরকার মনে করছে তারা। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। তারা পরিকল্পনা করছে ফুটবলের ভালোর জন্য। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের গুরুত্ব যদি দেওয়া হতো, তাহলে অনেক আগেই দেওয়া হতো। এই সমস্যা শুধু আজ-কালের না, এটা অনেক আগের। স্যার অনুরোধ করেছেন আমাদের ট্রেনিংয়ে যেতে, কিন্তু একটা তো সমাধান প্রয়োজন।’

শেষ পর্যন্ত চুক্তিতে না নেওয়া এবং আমিরাত সফরের দলে না রাখলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যাওয়ার বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। একুশে পদকের জন্য মনোনীত হওয়া নারী ফুটবল দল সেই কাজটি করবেন না বলে জানান দলের অন্যতম সেরা এ তারকা, ‘বাফুফে যদি ভালো একটা সমাধান দেয়, তাহলে উচ্চ পর্যায়ে কেন যাব? আমরা বাফুফের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তাদের বিরুদ্ধে যাব না। আমরা তো বাফুফের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি, সব বলেছি কোচের বিরুদ্ধে। আত্মসম্মানের জন্য, ফুটবলের ভালোর জন্য আন্দোলন করছি। কোনো কারণ ছাড়াই ১৮ জন মেয়ে তো কোচের বিরুদ্ধে যেত না।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল র করব ন ন আম দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার কাছে ট্রাম্পের পরমাণু সাবমেরিন মোতায়েনের ঝুঁকি আসলে কতটা

সাধারণ সময়ে এই ঘটনা খুবই অস্বাভাবিক, যুগ পরিবর্তনকারী ও ভয়জাগানিয়া বলে মনে হতো। কারণ, স্নায়ুযুদ্ধকালেও কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে রাশিয়ার উপকূলের দিকে পরমাণু সাবমেরিন পাঠানোর এমন নির্দেশ দেননি।

এই ধরনের পরমাণু উত্তেজনার খেলায় আগে কখনো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নেতা জড়াননি।

সত্যি বলতে, ১৯৬২ সালে কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র–সংকটে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূল থেকে মাত্র ৯০ মাইল দূরে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বসিয়ে বিশ্বকে পরমাণু যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় ১৩ দিন ধরে পুরো পৃথিবী ভয় আর অনিশ্চয়তায় কাঁপছিল।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কল্পনাবিলাসী শাসনব্যবস্থার কারণে এবার তেমন ভয় বা আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে না। এটি মোটেই কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র–সংকটের দ্বিতীয় সংস্করণ নয়, তা খুব স্পষ্ট।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কল্পনাবিলাসী শাসনব্যবস্থার কারণে এবার তেমন ভয় বা আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে না। এটি মোটেই কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র–সংকটের দ্বিতীয় সংস্করণ নয়, তা খুব স্পষ্ট।

তবে তার অর্থ এই নয় যে ট্রাম্প যা করলেন, সেটি কোনো ঝুঁকিমুক্ত সিদ্ধান্ত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অবস্থান এমনভাবে বদলেছেন, যেটা তাঁর পূর্বসূরিদের কেউই সাহস করেননি। এমনকি অনেকটা হালকাভাবেই তিনি পারমাণবিক উত্তেজনার সিঁড়ির প্রথম ধাপে পা রেখেছেন।

এখন যদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পাল্টা জবাব দিতে চান, তাহলে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে।

ট্রাম্প হয়তো মনে করছেন, পুতিন তেমন কিছু করবেন না। আসলে ট্রাম্প সম্ভবত এবার রাশিয়ার কৌশলই ব্যবহার করছেন।

পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক অবস্থান বদলানোকে চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনার সময় তিনি প্রায়ই কালিনিনগ্রাদে পারমাণবিক ওয়ারহেড ছুড়তে সক্ষম ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেন। এই কালিনিনগ্রাদ এলাকাটি ন্যাটোর সদস্যদেশ পোল্যান্ডের সীমান্তে অবস্থিত।

২০২৩ সালে পুতিন বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেন। স্নায়ুযুদ্ধের পর এই প্রথম রাশিয়া নিজেদের দেশের বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করল। তিনি ইউক্রেনে বারবার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

আর গতকাল শুক্রবার পুতিন ঘোষণা দিলেন, রাশিয়া ওরেশনিক নামে একধরনের হাইপারসনিক মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি শুরু করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৫ সালের মধ্যেই বেলারুশে মোতায়েন করা হবে। তিনি দাবি করেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের জন্য নির্দিষ্ট স্থানও ইতিমধ্যে বাছাই করে রাখা হয়েছে।

গত কয়েক দিনে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ সতর্ক করে বলেছেন, ট্রাম্পের নানা হুমকি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারে। মেদভেদেভ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্রমণাত্মক ভূমিকা পালন করছেন। তিনি এর আগেও পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন।

পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক অবস্থান বদলানোকে চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনার সময় তিনি প্রায়ই কালিনিনগ্রাদে পারমাণবিক ওয়ারহেড ছুড়তে সক্ষম ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেন।

কিছুদিন আগেও পুতিনের ভক্ত হিসেবে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার হুমকিকে পাত্তা দিচ্ছেন এবং তার মোকাবিলায় পাল্টা চাল দিচ্ছেন।

অন্যভাবে বললে, রাশিয়া যেটাকে ‘কেবল হুমকি’ হিসেবে দিচ্ছে, ট্রাম্প সেটাকে ‘আসল হুমকি’ হিসেবে নিচ্ছেন। এটা অনেকটাই উল্টো পরিস্থিতি। কারণ, ট্রাম্পের সমর্থকেরা সাধারণত বলে থাকেন, তাঁর কথাকে সরাসরি না নিয়ে রূপকভাবে বুঝতে হবে।

মেদভেদেভকে উদ্দেশ করে ট্রাম্প তাঁর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লেখেন, ‘শব্দের গুরুত্ব অনেক। আর সেগুলো অনেক সময় এমন পরিণতি ডেকে আনতে পারে, যা কেউ চায় না।’

তাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই হুমকিকে অনেকটাই নাটকীয় ‘পারফরম্যান্স’ বলা যায়। হ্যাঁ, এটি উচ্চ ঝুঁকির, দায়িত্বহীন। তবে শেষমেশ এটি একধরনের ‘লোক দেখানো কার্যকলাপ’।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পেছনে অন্য উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। আগামী কয়েক দিনে ট্রাম্পকে ব্যাখ্যা করতে হবে, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। দিন দিন এটির গুরুত্ব আরও বাড়ছে। কারণ, গতকাল শুক্রবার কিয়েভে রাশিয়ার এক হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া রাশিয়ার তেল-গ্যাস কেনা দেশগুলো বিশেষ করে চীন, ভারত, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর দ্বিতীয় স্তরের নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিকল্পনাও ট্রাম্পের জন্য কূটনৈতিক চাপে পরিণত হয়েছে।

এ সবকিছুর মাঝখানে ট্রাম্প যদি পরবর্তী সময়ে তাঁর হুমকি থেকে সরে দাঁড়াতে চান, তাহলে তিনি দেখাতে পারবেন যে সাবমেরিন মোতায়েনের মাধ্যমে তিনি রাশিয়াকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। তিনি এমন একটি কৌশল নিয়েছেন, যার ঝুঁকি হয়তো বেশি, কিন্তু অর্থনৈতিক খরচ তুলনামূলকভাবে কম। বিশেষ করে যেসব মিত্রদেশকে তিনি অন্য ক্ষেত্রে পাশে পেতে চান, তাদের ওপর শুল্ক আরোপের চেয়ে এই মূল্য তুলনামূলক কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ