চার্টার্ড বিমানে ট্রফি নিয়ে বরিশালে তামিমরা
Published: 9th, February 2025 GMT
তখনও ফাইনাল শুরু হয়নি। মিরপুর শের-ই-বাংলার সামনে ফরচুন বরিশালের এক ভক্ত বলছিলেন, “দুইডা লঞ্চ রেডি, ট্রফি যাবে বরিশালেই।”
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের ছবি ঠিকই যাচ্ছে বরিশালে, কিন্তু লঞ্চে নয়। বাংলাদেশ বিমানের চার্টাড ফ্লাইটে বরিশাল যাচ্ছেন তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।
রোববার দুপুর ২টার আগেই বরিশালে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তামিমদের। সেখানে বেলস পার্কে বরিশালের ভক্তদের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নের আনন্দ উদযাপন করবেন তামিমরা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত থাকার কথা রয়েছে তাদের।
আরো পড়ুন:
চারে এসে সফল শান্ত-হৃদয়
৪ থেকে ৬ জন ক্রিকেটার ধরে রাখার পক্ষে তামিম
৭ ফেব্রুয়ারি চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয় বরিশাল। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হলেও ট্রফি নিয়ে বরিশাল যেতে পারেননি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক মিজানুর রহমান।
রাইজিংবিডিকে মিজানুর বলেন, “লঞ্চে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে এটি বাদ দিতে হয়েছে। আমরা হতাশ করছি না ভক্তদের, চার্টার্ড ফ্লাইটে যাচ্ছি।“
এদিকে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি। বরিশাল যাওয়ার কারণে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ এক ঝাঁক ক্রিকেটার যোগ দিতে পারছেন না। আগামীকাল থেকে তারা পুরোদমে অনুশীলন শুরু করবেন।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ত ম ম ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।
জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।
ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।
আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’
জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল