তখনও ফাইনাল শুরু হয়নি। মিরপুর শের-ই-বাংলার সামনে ফরচুন বরিশালের এক ভক্ত বলছিলেন, “দুইডা লঞ্চ রেডি, ট্রফি যাবে বরিশালেই।”

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের ছবি ঠিকই যাচ্ছে বরিশালে, কিন্তু লঞ্চে নয়। বাংলাদেশ বিমানের চার্টাড ফ্লাইটে বরিশাল যাচ্ছেন তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। 

রোববার দুপুর ২টার আগেই বরিশালে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তামিমদের। সেখানে বেলস পার্কে বরিশালের ভক্তদের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নের আনন্দ উদযাপন করবেন তামিমরা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত থাকার কথা রয়েছে তাদের। 

আরো পড়ুন:

চারে এসে সফল শান্ত-হৃদয়

৪ থেকে ৬ জন ক্রিকেটার ধরে রাখার পক্ষে তামিম

৭ ফেব্রুয়ারি চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয় বরিশাল। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হলেও ট্রফি নিয়ে বরিশাল যেতে পারেননি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক মিজানুর রহমান। 

রাইজিংবিডিকে মিজানুর বলেন, “লঞ্চে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে এটি বাদ দিতে হয়েছে। আমরা হতাশ করছি না ভক্তদের, চার্টার্ড ফ্লাইটে যাচ্ছি।“  
 
এদিকে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি। বরিশাল যাওয়ার কারণে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ এক ঝাঁক ক্রিকেটার যোগ দিতে পারছেন না। আগামীকাল থেকে তারা পুরোদমে অনুশীলন শুরু করবেন।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ