জুলাই ও আগস্ট গণআন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর সহিংস ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ ‘পুলিশ ওয়েবসাইটে’ আপলোডের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনাসমূহের তথ্য-প্রমাণ ও ডিজিটাল অ্যাভিডেন্স সংগ্রহের লক্ষ্যে গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট-২০২৪ পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন/ক্যামেরায় ধারণকৃত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ ‘আন্দোলনের ছবি’ ওয়েবসাইটে (andolonerchobi.

police.gov.bd) আপলোড করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ একটি এবং প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫টি করে স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ আপলোড করা যাবে। প্রতিটি ফাইল আপলোডের পূর্বে আপলোডকারীর মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। আপলোডকৃত ফাইলসমূহ আপলোডকারীর মোবাইল নম্বর দিয়ে লগ-ইন করে দেখা যাবে। 

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি-২০২৫ পর্যন্ত ওই ওয়েবসাইটে স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ আপলোড করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

ঢাকা/এমআর/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপল ড

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ