প্রথম ওয়ানডের পুনরাবৃত্তি হল না দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে। কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে শামি-হর্ষিতদের সামলে ৩০৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে ইংল্যান্ড। 

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। দারুণ শুরু এনে দেন ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট। ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে দুর্দান্ত সূচনা দেন তারা। ডাকেট ৫৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হন রবীন্দ্র জাদেজার বলে, আর সল্টকে ফেরান অভিষিক্ত বরুণ চক্রবর্তী। যদিও বরুণ বল হাতে খুব একটা কার্যকর ছিলেন না, ১০ ওভারে ৫৪ রান খরচায় একটি মাত্র উইকেট নেন।

ইংল্যান্ডের রানের গতি কিছুটা কমে গেলেও জো রুটের ৬৯ রানের ইনিংস দলকে শক্ত ভিত্তি দেয়। হার্দিক পান্ডিয়া বাটলারকে (৩৪) ফিরিয়ে ভারতকে স্বস্তি এনে দিলেও, শেষের দিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ঝড় তোলেন। ৩২ বলে ৪১ রান করে শেষ ওভারে রান আউট হন তিনি। তার সঙ্গে আদিল রশিদ ৫ বলে ১৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।

ভারতের বোলারদের মধ্যে জাদেজা ৩ উইকেট নিলেও শামি (৭.

৫ ওভারে ৬৬ রান) ও হর্ষিত (৯ ওভারে ৬২ রান) বেশ ব্যয়বহুল ছিলেন। এখন দেখার বিষয়, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিরা এই বড় লক্ষ্য তাড়া করতে পারেন কি না।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ