ভারতের বিপক্ষে তিনশ’ ছাড়ানো পুঁজি ইংল্যান্ডের
Published: 9th, February 2025 GMT
প্রথম ওয়ানডের পুনরাবৃত্তি হল না দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে। কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে শামি-হর্ষিতদের সামলে ৩০৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে ইংল্যান্ড।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। দারুণ শুরু এনে দেন ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট। ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে দুর্দান্ত সূচনা দেন তারা। ডাকেট ৫৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হন রবীন্দ্র জাদেজার বলে, আর সল্টকে ফেরান অভিষিক্ত বরুণ চক্রবর্তী। যদিও বরুণ বল হাতে খুব একটা কার্যকর ছিলেন না, ১০ ওভারে ৫৪ রান খরচায় একটি মাত্র উইকেট নেন।
ইংল্যান্ডের রানের গতি কিছুটা কমে গেলেও জো রুটের ৬৯ রানের ইনিংস দলকে শক্ত ভিত্তি দেয়। হার্দিক পান্ডিয়া বাটলারকে (৩৪) ফিরিয়ে ভারতকে স্বস্তি এনে দিলেও, শেষের দিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ঝড় তোলেন। ৩২ বলে ৪১ রান করে শেষ ওভারে রান আউট হন তিনি। তার সঙ্গে আদিল রশিদ ৫ বলে ১৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
ভারতের বোলারদের মধ্যে জাদেজা ৩ উইকেট নিলেও শামি (৭.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
বাঁশ এক ধরনের ঘাস এবং চীর সবুজ বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ। আমাদের দেশে এটি একটি সংবেদনশীল শব্দ। কিন্তু চীনে বাঁশকে শুভশক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এই কারণে চীনা সংস্কৃতির সর্বত্র রয়েছে বাঁশের ব্যবহার। তারা মনে করে বাঁশ নেতিবাচক শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে। আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। প্রতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালিত হয়। বাঁশের প্রয়োজনীয়তা ও বাঁশ সম্পর্কিত সচেতনতা ছড়িয়ে দিতেই বিশ্ব বাঁশ দিবস পালিত হয়।
মুলি, তল্লা, আইক্কা, ছড়িসহ নানা ধরনের বাঁশ রয়েছে। পৃথিবীতে ৩০০ প্রজাতির বাঁশ আছে।এর মধ্যে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট ৩৩ প্রজাতির বাঁশ সংরক্ষণ করেছে।
আরো পড়ুন:
কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস
পিসিওএস রোগ হলে নারী কী গর্ভধারণ করতে পারেন?
২০০৫ সালে বৈশ্বিকভাবে বাঁশ শিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব বাঁশ সংস্থা। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেস চলাকালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায় বিশ্ব বাঁশ দিবস।
২০০৯ সালের ওই সম্মেলনে প্রায় ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং দিনটিকে বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসাবে মনোনীত করার প্রস্তাবে সম্মত হন। এই দিবস পালনের প্রস্তাব রেখেছিলেন সংস্থার তৎকালীন সভাপতি কামেশ সালাম।
বিশ্বব্যাপী আসবাবপত্র কিংবা গৃহস্থালি প্রয়োজন ছাড়াও বাঁশ ব্যবহার করা হয় খাদ্যদ্রব্য হিসেবে। সবুজ বাঁশের ডালের ভেতরের অংশ অর্থাৎ বাঁশ কোড়ল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) গ্লোবাল ব্যাম্বু রিসোর্সেস প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায় চীনে। চীনে অন্তত ৫০০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে রয়েছে ২৩২ প্রজাতির বাঁশ। আর ৩৩ প্রজাতির বাঁশ থাকা বাংলাদেশ আছে তালিকার অষ্টমে।
বাঁশ খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। পুষ্টি উপাদান ও মুখরোচক স্বাদের জন্য পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের কাছে খাবার বাঁশ কোড়ল নামে পরিচিত।এর তৈরি স্যুপ, সালাদ, তরকারি বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত বাঁশের অঙ্কুরোদগম হওয়ার পর চার থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত যে কচি বাঁশ হয় সেটাই রান্না করে খাওয়া যায়।
ঢাকা/লিপি