রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার সন্ধ্যায় ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর মহাখালী, রামপুরা ও উত্তরায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে করা মামলায় আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এই সাতজনের মধ্যে একজন হলেন মুজিবুর রহমান।

পরোয়ানা জারির তিন ঘণ্টা পরই মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করার কথা জানান প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। তিনি সাংবাদিকদের এক খুদে বার্তায় জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে মুজিবুর রহমানকে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর বিকেলে মুজিবুর রহমানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ প্রথম আলোকে জানান, মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আজ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। সন্ধ্যায় ট্রাইব্যুনাল তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

মুজিবুর রহমান উত্তরা পূর্ব থানায় গত ১ আগস্ট পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন বলেও জানান সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, মুজিবুর রহমান বরখাস্ত ছিলেন না। তিনি সর্বশেষ সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানা সার্কেলে কর্মরত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম জ ব র রহম ন অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ