Samakal:
2025-11-03@06:22:58 GMT

যেভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন

Published: 9th, February 2025 GMT

যেভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন

প্রত্যেক মেধাবী শিক্ষার্থী স্বপ্ন দেখেন দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার। সে লক্ষ্যে একজন শিক্ষার্থীকে ঠিক করতে হবে তিনি কোন দেশে পড়তে যেতে চান। একেকটি দেশের পড়াশোনা, খরচ, ভর্তির রিকোয়ারমেন্টে পার্থক্য আছে। দেশ বাছাইয়ের পর ঠিক করতে হবে সাবজেক্ট ও আর্থিক সামর্থ্যের সঙ্গে মিলিয়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বা চাহিদা, টিউশন ফির সঙ্গে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য থাকে। 
দেশের বাইরে পড়ালেখার পরিকল্পনা থাকলে তাই আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলো সম্পর্কে ‘গুগল’ করে বিস্তারিত জেনে নিন। আবেদনের শেষ দিন, কী কী কাগজপত্র পাঠাতে হবে, খরচ কেমন জেনে, বুঝে নিন, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোন বিষয়টি আপনার জন্য মানানসই। কয়েকটি সেশনে ভর্তি করা হয়, এ ক্ষেত্রে কোন সেশনে ভর্তি হতে চান, সে পরিকল্পনাও করে ফেলুন। 
যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশেই সেপ্টেম্বরে ভর্তি সেশন শুরু হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ, আবেদন ইত্যাদি অন্তত এক বছর আগে থেকে শুরু করতে হবে। যে বিষয়ে পড়তে চান সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। সে সঙ্গে দেখতে হবে আপনার আর্থিক সামর্থ্য এবং পছন্দের সঙ্গে মিলছে কিনা। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ও স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার। কোথায় পড়াশোনা করবেন, তা ঠিক করার আগে চারটি বিষয় মাথায় রাখুন। 
l আপনি দেশে কীভাবে পড়াশোনা করেছেন এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আপনি কী চান? 
l আপনার পছন্দের বিষয় অথবা গবেষণার বিষয়। 
l পছন্দ অনুযায়ী আপনার বেশ কিছু ইউনিভার্সিটির প্রোফাইল। 
l  ব্যক্তিগত লক্ষ্য, কোর্স খরচ এবং ভর্তির যোগ্যতা। 
এ চারটি বিষয় নিয়ে ভাবলে কোথায় পড়াশোনা আপনার জন্য ভালো হবে– একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চাইলে প্রথমেই ভাবতে হবে আপনি কেন বিদেশে পড়তে যেতে চান, তারপর ভাবতে হবে আপনি যে কোর্সটি করার জন্য বিদেশে যেতে চাচ্ছেন সেই কোর্সটি বিদেশে গিয়ে করলে আপনি কী কী সুবিধা ও অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন। প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ ও সেশন ঠিক করে নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করার ধরন ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে একটু আলাদা। দেশের বাইরে পড়ালেখার পরিকল্পনা থাকলে তাই আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলো সম্পর্কে গুগল থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। আবেদনের শেষ দিন, কী কী কাগজপত্র পাঠাতে হবে, খরচ কেমন, জেনেবুঝে নিন। সাধারণত মার্চ ও অক্টোবর মাসের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুটি বা তিনটি সেশনে ভর্তি করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোন সেশনে ভর্তি হতে চান, সে পরিকল্পনাও করে ফেলুন। 
মূল সনদ জোগাড় করে ফেলুন। শিক্ষা বোর্ড বা কলেজ থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র ও সনদ সংগ্রহ করে রাখুন। স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য অনার্সের নম্বরপত্র ও সনদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। 
ভাষা দক্ষতা 
যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য অবশ্যই আপনার প্রয়োজন হবে আইইএলটিএস, টোফেল, স্যাট অথবা জিআরই। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এসব রিকোয়ারমেন্টের পার্থক্য থাকতে পারে। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় দেশগুলোর বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএসে ব্যান্ড স্কোর অন্তত ৬ থাকা দরকার। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এর চেয়ে বেশিও চাইতে পারে। আমেরিকাসহ আরও কিছু দেশের কোনো কোনো বিষয়ে টোফেল, স্যাট বা জিআরই দরকার হতে পারে।  জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, নরওয়ের মতো ইউরোপীয় দেশে পড়তে গেলে যেমন ইংরেজিতে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে সেই দেশের ভাষার দক্ষতা দরকার হতে পারে। বিশেষ করে জার্মানির মতো দেশে পড়ার সুযোগ নিতে হলে জার্মান ভাষা জানতে হবে। 

ভর্তি প্রক্রিয়া 
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় বাছাই করার পর অনলাইনের মাধ্যমে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। সেখানে পড়াশোনার সব সনদ স্ক্যান করে তুলে দিতে হতে পারে। পাশাপাশি সেগুলোর ফটোকপি কুরিয়ার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় পাঠাতে হতে পারে। 
l সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আবেদন গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্ত ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়। 
l আবেদনপত্র গ্রহণ করা হলে ভিসা আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। 
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের সময় অনেক ক্ষেত্রে পাসপোর্ট নম্বর প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া স্যাট, জিআরই, জিম্যাট, আইইএলটিএস, টোফেল পরীক্ষা দিতে পাসপোর্ট কাজে লাগে। পাসপোর্ট না থাকলে তৈরি করে ফেলতে হবে কিংবা মেয়াদ ছয় মাসের কম হলে নতুন করে বানাতে হবে। 
আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণপত্র 
ভিসা আবেদনের সময় আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ দেখাতে হবে। প্রায় সব দেশেই শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে দূতাবাস কর্মকর্তারা দেখতে চাইবেন, শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার খরচ সে বহন করতে সক্ষম কিনা। দেশভেদে টিউশন ফি একেক রকম। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীর থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, হাত ও চিকিৎসা খরচ যোগ করতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিস্টারের ফি অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। অনেক দেশে স্বাস্থ্য বীমা থাকা বাধ্যতামূলক।
ভিসা 
ভিসা আবেদনের সময় আবেদনপত্রের কাগজপত্রের মধ্যে অবশ্যই সংশ্নিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির অফার লেটার থাকতে হবে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীর আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ, অর্থাৎ ব্যাংক হিসাবে নিজের নামে বা গ্যারান্টরের নামে পর্যাপ্ত অর্থের ব্যবস্থা থাকতে হবে। শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত থাকতে পারে। 
 

 


[বাকি অংশ পরবর্তী সংখ্যায়]

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর থ ক স ন র জন য ঠ ক কর আপন র দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের জন্য নিউইয়র্ক টাইমসের ফেলোশিপ প্রোগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক টাইমস ফেলোশিপ ২০২৬। এই ফেলোশিপ কর্মসূচিতে প্রাথমিক পর্যায়ের সাংবাদিক, রিপোর্টার, সম্পাদক, মিডিয়া পেশাজীবী ও সদ্য স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

এক বছরের এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নির্বাচিত ফেলোরা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করার সুযোগ পাবেন। তাঁরা পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে হাতে-কলমে নিউজরুমে কাজ, রিপোর্টিং, ভিডিও, গ্রাফিকস, অডিও বা ডিজাইনের কাজের সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫ফেলোশিপের স্থান

বেশির ভাগ ফেলো দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের নিউইয়র্ক সদর দপ্তরে কাজ করবেন। তবে কিছু ফেলোশিপ সুযোগ থাকবে ওয়াশিংটন, সান ফ্রান্সিসকো ও লন্ডন অফিসেও। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে হাইব্রিড কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করে, অর্থাৎ ফেলোদের প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট সময় অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।

ফেলোশিপের বিভাগসমূহ

রিপোর্টিং

ভিজ্যুয়ালস ও গ্রাফিকস

ফটোগ্রাফি

নিউজ ভিডিও ও রিপোর্টার ভিডিও

ডিজিটাল ও প্রিন্ট ডিজাইন

অডিয়েন্স ও ওপিনিয়ন বিভাগ

ফটো এডিটিং

এআই ইনিশিয়েটিভস

দ্য আপশট (বিশেষ বিশ্লেষণ বিভাগ)

আরও পড়ুনকানাডায় টিউশন ফি ছাড়াই স্কলারশিপ, ৭০০টির বেশি প্রোগ্রাম২৭ অক্টোবর ২০২৫প্রয়োজনীয় যোগ্যতা

প্রাথমিক পর্যায়ের সাংবাদিক বা সদ্য স্নাতক প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বিশ্বের যেকোনো দেশের প্রার্থীরা আবেদনযোগ্য।

যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কাজ করার অনুমোদন থাকতে হবে।

প্রতিটি ফেলোশিপ পদের জন্য আলাদা কিছু যোগ্যতা থাকতে পারে।

ফেলোদের জন্য সুবিধাসমূহ

ফেলোশিপটি সম্পূর্ণ বেতনসহ।

পূর্ণকালীন সাংবাদিকদের মতো কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সাংবাদিকতা শেখার অনন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এটি সাংবাদিকতা, সংবাদ ও মিডিয়ায় আগ্রহীদের জন্য একবারের জীবনে পাওয়া সুযোগ।

আরও পড়ুনজাপানে মেক্সট স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষা, জিপিএ ২.৩০ হলে আবেদন ১৯ অক্টোবর ২০২৫প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সিভি

কভার লেটার

পোর্টফোলিও লিংক (যদি প্রয়োজন হয়)

ওয়ার্ক স্যাম্পল (যদি প্রয়োজন হয়)

আবেদনপ্রক্রিয়া

১. অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Apply Now’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

২. আবেদন করার আগে যোগ্যতা যাচাই করে নিতে হবে।

৩. প্রতিটি ফেলোশিপ ক্ষেত্রের জন্য আলাদা ফর্ম থাকবে। নিজের পছন্দের বিভাগ বেছে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

৪. প্রতিবছর একজন প্রার্থী কেবল একটি ফেলোশিপ পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

৫. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

শেষ তারিখ

১৯ নভেম্বর ২০২৫

* আবেদনের পদ্ধতিসহ বিস্তারিত দেখুন এখানে

আরও পড়ুনসুইডেনে ৭৫০টি ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ, আবেদন স্নাতকোত্তরে, জীবনযাপন খরচ–ভ্রমণ ব্যয়সহ নানা সুযোগ২৬ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিকদের জন্য নিউইয়র্ক টাইমসের ফেলোশিপ প্রোগ্রাম