৪৮১ দিন পর একাদশে নেইমার, গোল নেই, ড্রিবলেও জিরো
Published: 10th, February 2025 GMT
সান্তোসে নিজের ফেরার ম্যাচেই বদলি নেমে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু পরের ম্যাচেই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৪৮১ দিন পর শুরুর একাদশে নেমে ভুলে যাওয়ার মতোই একটি দিন পার করেছেন তিনি।
নভোরিজোন্তিনোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করা ম্যাচে নেইমার মাঠে ছিলেন ৭৫ মিনিট (ইনজুরি টাইমসহ ৮১ মিনিট)। কিন্তু এ সময়ে দলের ভাগ্য বদলানো দূরে থাক, তেমন কোনো ছাপই ফেলতে পারেননি।
গোলশূন্য ম্যাচে নেইমার যে গোল কিংবা অ্যাসিস্ট কোনোটাই করতে পারেননি, সেটা বোধ হয় আলাদা করে না বললেও চলে। গোল না করা কিংবা অ্যাসিস্ট না করার মতো দিন একজন ফুটবলারের যেতেই পারে। কিন্তু এ ম্যাচে নেইমার একটি শট নিলেও সেটি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
আরও পড়ুনসান্তোসে প্রত্যাবর্তনেই ম্যাচসেরা নেইমার০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সান্তোসের হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নেইমার বল স্পর্শ করেছেন ৫৫ বার, যেখানে তিনি সব মিলিয়ে পাস দিয়েছেন ২৮টি। এর মধ্যে ২২টি ছিল সফল পাস। সাফল্যের হার ৭৯ শতাংশ।
কিন্তু এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাস ছিল মাত্র ১টি। এমনকি এ ম্যাচে ৭ বার ড্রিবলের চেষ্টা করে একবারও সফল হননি। আর এই পরিসংখ্যানগুলোই মূলত তুলে ধরছে নেইমারের বাজে পারফরম্যান্সকে।
এদিন ম্লান পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ৯ মিনিটে সমর্থকদের মনে ভয়ও ধরিয়ে দিয়েছিলেন নেইমার। এ সময় হেড দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে মাথায় সংঘর্ষ লাগার পর মাঠে শুয়ে পড়েন নেইমার।
পরে অবশ্য দ্রুতই খেলায় ফিরে আসেন তিনি। এরপর ২২ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ এসেছিল তাঁর সামনে। কিন্তু নিজে শট না নিয়ে সতীর্থ গিয়ের্মেকে পাস দেন দিনি।
আরও পড়ুনইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফ্লপে নেইমারের ‘বন্ধু’ যাঁরা৩১ জানুয়ারি ২০২৫পরে সেই সুযোগ আর আলোর মুখ দেখেনি। পরিসংখ্যানের নানা দিকে পিছিয়ে থাকলেও একটি দিকে সবার ওপরে ছিলেন নেইমার। এ ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হওয়া খেলোয়াড় তিনি। সব মিলিয়ে ৪ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা।
ম্যাচের বেশির ভাগ সময় ম্লান পারফর্ম করা নেইমারকে শেষ পর্যন্ত বদলি করা হয় ম্যাচের ৭৫ মিনিটে। তাঁর বদলে মাঠে নামেন গ্যাব্রিয়েল বোন্তেমপো। তিনিও অবশ্য ম্যাচে কোনো পার্থক্য গড়তে পারেননি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প র নন
এছাড়াও পড়ুন:
ধোনি কেন আইপিএল ছাড়তে পারছেন না: পেছনে হাজার কোটি টাকার খেলা
বয়স ৪৪, শরীরও আর আগের মতো চলছে না। তবু মহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএল ছাড়েননি। সর্বশেষ মৌসুমে খেলেছেন, শোনা যাচ্ছে, পরের মৌসুমেও খেলবেন। অথচ তাঁর মাঠের পারফরম্যান্স বলছে, সময় ফুরিয়েছে। তবু তিনি খেলে যাচ্ছেন কেন? ক্রিকেট ছাড়তে পারছেন না তাই? নাকি খ্যাতির মোহ? সত্যিটা এসবের চেয়েও বড়—ধোনি এখন শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একটি বিশাল অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের মূল স্তম্ভ, যাঁর বিদায় মানে অনেক কিছুর ধস।
চলুন দেখা যাক, কীভাবে ধোনির একটুখানি মাঠে থাকা বদলে দেয় বিশাল অঙ্কের হিসাব।২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ব্র্যান্ড ভ্যালু ২০২৫ আইপিএল ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইতিহাসেই সবচেয়ে বাজে মৌসুম। পয়েন্ট তালিকায় একেবারে তলানিতে থেকে মৌসুম শেষ করেছে তারা। কিন্তু অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার, এর কোনো প্রভাবই পড়েনি সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালুতে; বরং সামান্য বেড়েছে!
হুলিহ্যান লোকির ‘আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্টাডি ২০২৫’ প্রতিবেদন বলছে, ২০২৫ সালে সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়ে হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা ২০২৪ সালে ছিল ২৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। যদিও আইপিএলের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজির র্যাঙ্কিংয়ে চেন্নাই ১ নম্বর থেকে তিনে নেমে গেছে, কিন্তু সেটা পুরোপুরি মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে নয়।
তুলনা করে দেখা যাক—রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) প্রথমবার আইপিএল জেতায় তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারে, উঠে এসেছে ১ নম্বরে। অথচ সিএসকে কিছু না করেই সেরা তিনে আছে শুধু একজনের জন্য—ঠিক ধরেছেন, এম এস ধোনি!
২০২৩ আইপিএলের একটি মুহূর্তই বলে দেয়, ধোনির উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ৩ বল খেলেছিলেন ধোনি, করেছিলেন ১২ রান। তাতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভিউয়ারশিপ পৌঁছায় ১ কোটি ৭০ লাখে, যা ছিল সে মৌসুমের সর্বোচ্চ। এমনকি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের ১ কোটি ৬০ লাখ ভিউয়ারকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল ধোনির সেই ৩ বল স্থায়ী ইনিংসটা!
টিএএম মিডিয়া রিসার্চ বলছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও ধোনি দিনে গড়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ১৪ ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম ধরে রেখেছেন। ২০২৪ সালে তিনি ৪২টি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করেছেন, যা অমিতাভ বচ্চন (৪১) ও শাহরুখ খানের (৩৪) চেয়েও বেশি।