‘তুমি কি মরতে যাচ্ছ’, সাইফ আলীকে তৈমুরের প্রশ্ন
Published: 10th, February 2025 GMT
গত মাসে নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। ১৬ জানুয়ারি সেই অনুপ্রবেশকারীকে আটকাতে গিয়ে আহত হন অভিনেতা। এমনকি ছুরির একটা অংশ গেঁথে যায় তাঁর মেরুদণ্ডের পাশে।
আরও পড়ুনসাইফ আলী অভিনেতা হিসেবে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫যা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হয়। ঘাড়েও চোট পান তিনি। এ ঘটনার পর পাঁচ দিন হাসপাতালে কেটেছে সাইফের। বাড়ি ফেরার পর গত সপ্তাহে একটি সিনেমার প্রচারে হাজির হয়েছিলেন, তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেননি। অবশেষে আলোচিত সেই ঘটনা নিয়ে বোম্বে টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেতা।
সাইফ জানিয়েছেন, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আহত হওয়ার পর তাঁর কুর্তা রক্তে ভেসে গিয়েছিল। সাইফের স্ত্রী কারিনা ও দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ নিচে নেমে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অটো বা ক্যাব খোঁজার চেষ্টা করেন।
সাইফ আলী খান। এএনআই.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।