রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি পরিদর্শনে গেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিনের একটি দল। সেখান থেকে তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন বলে জানা গেছে। তবে তারা কী ধরনের আলামত সংগ্রহ করছেন তা জানা যায়নি।

আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিনের ৫-৬ জনের একটি দল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পৌঁছায়। 
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির মুখপাত্র এসএসপি জসিম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, সকাল থেকে সিআইডির একটি টিম ৩২ নম্বরের ভবনটি পরিদর্শন করছেন।

এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ৩২ নম্বরে কিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে। সেগুলো মানুষের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর তা পরীক্ষা করতে সিআইডির ক্রাইম সিনকে ডাকা হয়েছে। তারা আলামত সংগ্রহ করছেন এবং সেগুলো নিয়ে যাবেন। পরে তারা তাদের ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখবেন এই হাড়গোড় মানুষের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ভাঙা বাড়িতেই কি হাড়গোড় পাওয়া গেছে- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোথায় থেকে পাওয়া গেছে তা বলতে পারছি না। তবে এটুকু জেনেছি যে এগুলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পাওয়া গেছে।

এর আগে গতকাল রোববার আয়নাঘর বা গোপন বন্দিশালা আছে– এমন সন্দেহে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির বেজমেন্ট থেকে পানি সরানোর কাজ করে ফায়ার সার্ভিস। পর সেখানে কিছুই পায়নি তারা।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স আইড ধ নমন ড স আইড র ধ নমন ড করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ