সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর রয়টার্সের।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার নিউ অরল্যান্সে যাওয়ার পথে উড়োজাহাজেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, ‘সোমবারই হোয়াইট হাউস এই নতুন শুল্কারোপ ঘোষণা করবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘যেসব দেশ আমাদের ওপর শুল্ক আরোপ করবে আমরাও তাদের ওপর পাল্টা শুল্ক বসাব। খুব সহজভাবে বলতে গেলে, এভাবেই আমরা বাণিজ্যনীতিতে সমতা আনতে চাই।’

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও আমেরিকান আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ধাতবপণ্য আমদানি করে থাকে কানাডা থেকে। এর পরেই রয়েছে মেক্সিকো, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম।

গত বছরের প্রথম ১১ মাসে কানাডা থেকে ৭৯ শতাংশ অ্যালুমিনিয়াম আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতের ওপর নতুন করে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে সবচেয়ে বিপাকে পড়বে কানাডা ও মেক্সিকো।

কানাডার উদ্ভাবনবিষয়ক মন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিলিপ শ্যাম্পেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘কানাডার ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা, জাহাজ নির্মাণ ও অটোমোবাইল শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমরা নিঃসন্দেহে আমাদের শিল্প ও কর্মীদের পাশে থাকব।’

এর আগে কানাডা ও মেক্সিকোর বিভিন্ন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে পরে আবার তা স্থগিত করেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মেক্সিকোকে শর্ত দিয়েছিলেন, তাদের সীমান্তে তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে যেন অবৈধ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে। সেই শর্ত অনুযায়ী সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ডের ১০ হাজার সেনাকে তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করে মেক্সিকো। এ শর্তে তাদের ওপর আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ট্রাম্প।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: শ শ ল ক আর প আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?

একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। 

চিকিৎসকদের মতে,  ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’

নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।

আরো পড়ুন:

প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন

যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়। 
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।

নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ