রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে ‘কিছু হাড় ও আলামত’ সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ সোমবার সকাল নয়টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন বিভাগের একটি দল সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহ করে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান প্রথম আলোকে বলেন, কিছু হাড় বা আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। তিনি আরও বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনের একটি দল সকালে গিয়েছিল। তারা সেখান থেকে অপরাধ সংক্রান্ত কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর বলতে পারবেন আসলে আলামতগুলো কীসের।

ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাড়িটির অনেকটাই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে এই বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় রয়েছে। অনেকে রড, ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা বাড়ি সংলগ্ন ভবনের নিচে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস। সেখান থেকে পানি নিষ্কাশন করেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

আরও পড়ুন৩২ নম্বরে কেউ বের করছেন পানির পাইপ, কেউ রড, কেউ বৈদ্যুতিক তার৩ ঘণ্টা আগে

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিলেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পর থেকে বাড়িটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

আরও পড়ুনগুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৩২ নম্বরের বাড়ি ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ধ নমন ড স আইড

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ