বেরোবির নাম রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি শিক্ষার্থী
Published: 10th, February 2025 GMT
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) নাম পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠাকালীন ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ রাখেন। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত ছিল। এর মাধ্যমে রংপুরবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসলকে নস্যাৎ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, রংপুরে আগে থেকেই বেগম রোকেয়ার নামে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন- বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজ, পায়রাবন্দে সরকারি কলেজ, একটি হাইস্কুল ও একটি বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের কোন যৌক্তিকতা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ থাকলে তা অঞ্চলটির পরিচয় বহন করত। অবিলম্বে প্রতিষ্ঠাকালীন নাম পুনর্বহালের দাবি করেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, “আমরা নাম পরিবর্তন নয়, প্রতিষ্ঠাকালীন ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম পুনর্বহাল চাই। সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোন সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। প্রয়োজনে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির সদস্য সচিব রহমত আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সমন্বয় ও শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/আমিরুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গম র ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’