সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে কবে পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে
Published: 10th, February 2025 GMT
মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র রমজান মাস ঘনিয়ে এসেছে। এ বছর সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৮ ফেব্রয়ারি অথবা আগামী ১ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইব্রাহিম আল জারওয়ান টাইমআউটদুবাই ডটকমকে বলেছেন, ‘ধারণা করছি, ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নতুন চাঁদের জন্ম হবে এবং সে অনুযায়ী ১ মার্চ শনিবার রমজান মাসের প্রথম দিন হবে।’
ইব্রাহিম আল জারওয়ান আরব আমিরাতের অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির পরিচালক পর্ষদের প্রধান।
হিজরি বর্ষপঞ্জির নবম মাস পবিত্র রমজান। চাঁদের ওপর নির্ভর করে হিজরি মাস গণনা করা হয়। যদি চাঁদ এক দিন আগে দেখা যায়, তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকেও রমজান মাস শুরু হতে পারে।
আবুধাবির অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার গত ২৯ জানুয়ারি রমজান মাসের আগের মাস শাবান শুরু হওয়ার তারিখ ঘোষণা করেছিল। সে সময় তারা বলেছিল, ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শাবান মাস শুরু হচ্ছে।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, ইরাক, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবানন, মিসর, ইরাক, ওমান, ইয়েমেন, সুদান, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, আলজেরিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে একই হিসাবে রমজান মাস শুরু হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রমজ ন ম স
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব