সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ প্রচার ও সুরক্ষা চুক্তি (এফআইপিএ) নিয়ে কারিগরি আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে কানাডা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেন এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় কানাডার মন্ত্রী বলেন, এফআইপিএ স্বাক্ষরিত হলে কানাডার ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন। তারা এটিকে একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখবেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশের যুবশক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে কানাডার শিল্প-কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করার অনুরোধ জানান।

উত্তরে কানাডার মন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে যেকোনো বৈধ শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাই। কানাডায় শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা কমানোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত বিশেষভাবে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে নেওয়া হয়নি।

আমরা ভিসার সংখ্যা কমিয়েছি, তবে বাংলাদেশিদের জন্য কোনো বৈষম্য নেই। বাংলাদেশ থেকে বৈধ শিক্ষার্থীরা সবসময়ই স্বাগত, যোগ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে পাচার অর্থ ফেরত আনতে কানাডার সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, কানাডায় ‘বেগমপাড়া’ নামে একটি এলাকা রয়েছে, যেখানে দুর্নীতিবাজদের পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি, কারণ এটি সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে।

কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বা লুট হওয়া সরকারি অর্থ কানাডায় চাই না।

সাক্ষাৎকালে কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কানাডার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমি জানি, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের এবং আপনার দলের ওপর অনেক আশা ও প্রত্যাশা রাখে।

প্রধান উপদেষ্টা ও কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা নিয়েও আলোচনা করেন।

সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ক ন ড র মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ