রাবিতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট সম্মেলন অনুষ্ঠিত
Published: 10th, February 2025 GMT
দেশে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক’ শীর্ষক আন্ডারগ্র্যাজুয়েট সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন এবং তারা পররাষ্ট্রনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, সুনীল অর্থনীতি, কূটনীতিক কৌশল, শান্তি, আঞ্চলিকতাবাদ ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
রাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড.
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাউফু ইসলাম ইতু ও সহি হাবিবের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ প্রথমবারের মত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট সম্মেলনের আয়োজন করেছে। বিশ্বায়নের এ যুগে টিকে থাকতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশাল অবদান রাখে। বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে ছোট হলেও আমাদের রয়েছে বঙ্গোপসাগরসহ অনেক সম্পদ। আমরা এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করতে পারি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল