স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সংসদের ভোটের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোমবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

আসিফ মাহমুদ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছে। এখন হস্তক্ষেপ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নানাভাবে মিথ্যাচার করছে। আশা করছি, ভারত আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে আর হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের আমলে তিনটি ভুয়া নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে ভারত সব সময় এড়িয়ে গেছে। অথচ একটি ভবন ভাঙার বিষয়ে তারা বিবৃতি দিচ্ছে। এতে বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, এখানে ভারতের আগ্রহ রয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে পিরোজপুরে ২০২০ সালের পর চার অর্থবছরের ১৭ প্রকল্পের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পিরোজপুরের প্রকল্পগুলোতে ১৬৪৮ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতিতে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যারা লুটপাট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আসিফ বলেন, শিগগিরই ঢাকা শহরের সব খেলার মাঠ দখলমুক্ত করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কাজ চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ