চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’–এর দ্বিতীয় দিনে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের চার নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রোববার রাতে হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের রতন বিহারি দাশের ছেলে সজীব চন্দ্র দাশ (৩২), তমরদ্দি ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের মৃত মো.

রফিকুল্লার ছেলে মো. রুবেল (৩২), বুড়িরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও বুড়িরচর ইউনিয়নের মৃত মো. আশরাফ উদ্দিনের ছেলে মো. আফতাব উদ্দিন (৩৬) ও তমরদ্দি ইউনিয়নের আজিজুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২৮)।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজমল হুদা অপারেশন ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় দিনে চারজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও পুলিশের যৌথ দল অভিযান পরিচালনা করছে। এর আগে গত শনিবার রাতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ