Samakal:
2025-05-01@12:12:33 GMT

গুয়েতেমালায় বাস উল্টে নিহত ৫১

Published: 11th, February 2025 GMT

গুয়েতেমালায় বাস উল্টে নিহত ৫১

মধ্য-আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে ৫১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। খবর আল জাজিরার

ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র মাইনর রুয়ানো স্থানীয় সময় সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, বাসটির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে ৩৬ জন পুরুষ এবং ১৫ জন নারীর মরদেহ উদ্ধার করে প্রাদেশিক মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাসটি গুয়েতেমালার রাজধানী থেকে একটি ব্যস্ত সড়ক থেকে যাওয়ার পথে পুয়েন্তে বেলিস নামক স্থানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেতু পারাপারের সময় বাসটি খাদে পড়ে যায়। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ফায়ার বিভাগের ছবিতে দেখা গেছে, দূষিত খাদে পড়া বাসটি থেকে আহত ও নিহতদের বের করে আনা হচ্ছে। ছবিতে বাসটিকে উল্টে থাকতে দেখা গেছে।

গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট বার্নার্দো আরেভালো বাস দুর্ঘটনায় তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। আহত ও নিহতদের উদ্ধারে তিনি সেনাবাহিনী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাকে মোতায়েন করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি সংহতি জানাই, যারা স্বজনদের মৃত্যুর খবর শুনে জেগে উঠেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘তাদের কষ্ট আমার কষ্ট।’

গুয়াতেমালার কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টও সামাজিক মাধ্যমে এ ঘটনাকে হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, চার ডজনেরও বেশি গুয়াতেমালাবাসী দৈনন্দিন জীবিকার সন্ধানে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ