ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা
Published: 11th, February 2025 GMT
শীত মাস বিদায়ের পথে। তবে বিদায় বেলায় মাঘ মাস তার প্রকৃত রূপ যেন দেখিয়ে দিলো। আজ ভোর থেকেই ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় সামান্য দূরের জিনিসও দেখতে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালেও ঘন কুয়াশায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়। তবে কুয়াশার চাপ থাকলেও শীতের তীব্রতা ততটা বেশি অনুভূত হচ্ছে না।
মিরপুর এক নম্বর থেকে দিলশাত জাহান নাঈমা নামে এক চাকরিজীবী বলেন, “শীত কাল আমার পছন্দের ঋতু। বিশেষ করে ঘন কুয়াশা। এটা দেখলেই এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করে। অফিসের যাওয়ার জন্য সকালে বাসা থেকে বের হেয়ছি। কুয়াশায় ভালো মতো কিছু দেখা যাচ্ছে না। তবে কুয়াশা পড়লেও শীত কিন্তু কম। আর মাঘে এতটুকু শীত না থাকলে ঋতু তো তার নিজস্বতা হারাবে।”
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কুয়াশার বিষয়ে এতে বলা হয়, শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামীকাল বুধবারও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে