চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বন্য হাতির আক্রমণে সোনা জান নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের পানত্রিশার মন্দুলার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া বৃদ্ধা ওই এলাকার আকবর আহমদ ওরফে আবু মিয়ার স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জানে আলম প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যায় ওই নারী বাড়ি থেকে ৪০০ মিটার দূরের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁর গরু আনতে গিয়েছিলেন।

এ সময় একটি বন্য হাতির পালের আক্রমণের শিকার হয়ে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। পরে বন বিভাগের সহায়তায় তাঁর লাশ স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। আজ মঙ্গলবার লাশ দাফন করা হবে।

পদুয়া রেঞ্জের আওতাধীন ডলু বন বিটের কর্মকর্তা রাকিব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গরু আনতে গিয়ে সম্ভবত ওই নারী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রবেশ করেছিলেন। সেখানে পাঁচ সদস্যের একটি হাতির পালের আক্রমণে তিনি মারা যান। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ