ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার করবে বিশেষ রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘ভালোবাসার কিচেন’ সিজন-৪। তারকা দম্পতি এফ এস নাঈম ও নাদিয়ার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন অঙ্গনের তারকা দম্পতিদের রান্না নিয়ে।

সম্প্রতি বিএফডিসিতে এর দৃশ্যধারণ শুরু হয়েছে। সাত পর্বের এ অনুষ্ঠানে নিজেদের প্রিয় রেসিপি রান্না করে দেখানোর পাশাপাশি সংসার জীবনের খুঁটিনাটি নানা বিষয় দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করবেন তারা।  জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এই আয়োজন। শেষ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। 

নাদিয়া বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসার কিচেন শুধু রান্নার অনুষ্ঠান নয়। এখানে দু’জনের গল্প, খুনসুটি, শেয়ারিং ও কেয়ারিং বিষয়গুলো উঠে আসবে। গত বছরও একই চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি করেছি। বেশ সাড়া পেয়েছিলাম। আশা করি, এবার উপভোগ্য একটি অনুষ্ঠান হবে।’

নাঈম বলেন, ‘অভিনয়ের বাইরে উপস্থাপনাও বেশ এনজয় করি। এ কারণে নতুন আইডিয়ার কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপনার প্রস্তাব পেলে সানন্দে রাজি হই। ‘রাঁধুনী ভালোবাসার কিচেন’ অনুষ্ঠানটির আইডিয়া পছন্দ হয়েছে। দর্শক নাদিয়ার সঙ্গে আমার উপস্থাপনার জুটিটি বেশ পছন্দ করছেন। আশা করছি, এবারও ভালো কিছু নিয়েই ফিরছি।’

প্রথম পর্বে ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসে উপস্থিত থাকবেন অভিনেত্রী ও মডেল মাসুমা রহমান নাবিলা ও তাঁর স্বামী জোবায়দুল হক রিম। অন্যান্য পর্বে থাকবেন অভিনেত্রী শারমীন জোহা শশী ও তাঁর স্বামী খালিদ হোসেন অভি, ফাতেমা তুজ জোহরা ও তাঁর স্বামী সৌমিক আহমেদ, নাজিয়া হক অর্ষা ও তাঁর স্বামী মোস্তাফিজুর নুর ইমরান, শিয়ানা শাহবা ও তাঁর স্বামী সৌভিক আহমেদ, কায়নাত আহমেদ ও তাঁর স্বামী অনম বিশ্বাস। 

শেষ দিন ২০ ফেব্রুয়ারি থাকবেন অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া ও তাঁর স্বামী সালমান আরাফাত। জেড আই ফয়সালের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ