বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী লায়লা খানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, গত সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনে বলেন, এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ অর্জনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্ত চলছে। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে মোটা অঙ্কের টাকা জমা রেখেছেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা।

দুদকের এই কর্মকর্তা আবেদনে আরো বলেন, ওই দম্পতি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তারা পালিয়ে গেলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে। তাই তাদের বিদেশ গমন রহিত করতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টার থেকে মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ শত য গ ন ষ ধ জ ঞ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ