দুদক পরিচালক সায়েমুজ্জামানকে বদলি, দায়িত্বে মোরশেদ আলম
Published: 11th, February 2025 GMT
দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সরিয়ে এনইএস এবং ইউএনসিএসি-এর ফোকাল পয়েন্ট বিভাগের পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক জানায়, প্রশাসন ক্যাডার থেকে ডেপুটেশনে আসা দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীসহ ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত কাজ চালিয়ে আসছিলেন। তদন্ত কাজ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তির মুখে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে, তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে কমিশন থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক মো.
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান চালানো দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া তার বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধারণাপ্রসূত বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থি। চিঠির সঙ্গে কাজী সায়েমুজ্জামানের দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যও যুক্ত করে দেওয়া হয়।
৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযান চালালেও দুদক সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার খুঁজে পায়নি। অভিযান শেষে কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান যে ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের জন্য এসেছিলাম, তাদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি। তবে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।
* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।
* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।
শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।
এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।
আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।
গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।
টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল