গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে: আইএফজে
Published: 11th, February 2025 GMT
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষার জন্য অর্থবহ পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
আইএফজি সাংবাদিকদের ব্রাসেলসভিত্তিক বৈশ্বিক সংগঠন। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচআরজেএ) সঙ্গে যৌথভাবে এ নিন্দা জানিয়েছে তারা। বিজ্ঞপ্তিটি আইএফজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিগত ১৫ দিনে সাংবাদিকদের ওপর অন্তত চারটি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহে হামলায় ছয়জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তবে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
আইএফজের তথ্যমতে, ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের কুয়াকাটা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম মিরনের ওপর অজ্ঞাতনামা একদল ব্যক্তি হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। একই দিনে রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর বিএনপির সদস্যরা হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাবেদ আখতার গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে একদল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি সমকালের সাংবাদিক সোহাগ খান সুজন, নিউজ ২৪-এর বিধান মজুমদার অনি, বাংলা টিভির নয়ন দাস ও দেশ টিভির সাইফুল ইসলাম আকাশের ওপর হামলা চালায়। শরীয়তপুরের পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন জানান, হামলার ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এই প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএফজে বলেছে, জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অবশ্যই স্বাধীনতা দিতে হবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেই হবে না, পাশাপাশি এসব হামলার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর ঘটন য় র ঘটন গণম ধ
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান
জুলাই গণঅভ্যত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও তিন শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আর্থিক অনুদানের চেক ও সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আহত জুলাই যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, ছাত্র প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ সময় ৪ জন শহিদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর সন্তানরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তাঁদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও অদম্য চেতনা আমাদের জাতি পুনর্গঠনের অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, এই যোদ্ধাদের সাহসিকতা দিয়েই গড়ে উঠবে একটি নতুন, উদ্ভাসিত বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রায় আমরা তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল নারায়ণগঞ্জ।
এদিকে এ অনুষ্ঠানটি শুধু অনুদান বিতরণ নয়, বরং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানোর এক অনবদ্য প্রয়াস হয়ে উঠেছিল।