Samakal:
2025-08-01@01:36:43 GMT

ফুটবলের কিট স্পন্সর পেল ‘দৌড়’

Published: 11th, February 2025 GMT

ফুটবলের কিট স্পন্সর পেল ‘দৌড়’

জাতীয় ফুটবল দলের আনুষ্ঠানিকভাবে কিট স্পন্সর ছিল না  কখনই। অবশেষে বাংলাদেশের ফুটবলে যুক্ত হলে কিট স্পন্সর। দুই বছরের জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠান ‘দৌড়’-এর সঙ্গে মঙ্গলবার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী সিনিয়র–জুনিয়র জাতীয় দলের জন্য প্রথমবার কিট স্পন্সর হিসেবে দেখা যাবে দৌড়কে। ব্যাগ এবং জুতা ছাড়া জার্সি, ট্রাউজার থেকে শুরু করে বাকি সবগুলোই বাফুফেকে দেবে দৌড়। বুট এবং ব্যাগ ক্রয়ের অর্থও দেবে প্রতিষ্ঠানটি। 

ফিফার গাইডলাইন অনুযায়ী দৌড়ের লোগো থাকবে ফুটবলারদের জার্সির মধ্যে। মঙ্গলবার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ও ফেডারেশনের সহ সভাপতি ফাহাদ করিম এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান দৌড়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আবিদ আলম চৌধুরী। 

দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে ফুটবল ফেডারেশনে যুক্ত করতে পারায় তৃপ্ত সভাপতি তাবিথ, ‘আমরা জার্সির ক্ষেত্রে আবহাওয়া, সেলাই, ধৌত সকল কিছু বিবেচনা করেই কিট স্পন্সর প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেছি। আমরা চাই বাংলাদেশের নাম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক। আমরা বাংলাদেশের ব্র্যান্ডের জার্সি পরে খেলি এটা অন্য দেশ ও ক্লাবগুলোকেও জানাব।’

বাংলাদেশ ফুটবল দলের জার্সি সামনে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে বাফুফে সভাপতির, ‘আমরা সামনে জার্সি কমার্শিয়ালি বিক্রি করবো। সেটা অনলাইন বা রিটেইল (খুচরা) উভয়ভাবে। এই বিষয়ে আরও কাজ করে বিস্তারিত বলতে পারবো।’ 

নির্বাচিত হওয়ার পর বেশ কয়েকটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করে বাফুফে। তার একটি হলো মার্কেটিং বিভাগ। এই বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দেশের ফুটবলে নতুনত্ব আনার চেষ্টা শুরু করেন ফাহাদ করিম। তারই ধারাবাহিকতায় কিট স্পন্সর হিসেবে ‘দৌড়’-এর মতো দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করেছেন তিনি। 
এই জন্য সভাপতি তাবিথ আউয়ালকে ধন্যবাদ জানান ফাহাদ করিম। বাংলাদেশের অনেক কোম্পানিকে বিবেচনা না করে দৌড়ের মতো নতুনকে বেছে নেয়ার কারণ সম্পর্কে ফাহাদ করিম বলেন, ‘আমরা তাদের সক্ষমতা, আগ্রহ, যোগ্যতা সকল কিছুই যাচাইবাছাই করেছি। আমরা কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপোষ করিনি। গত দুই মাস নারী দল ও একটি ক্লাব এই জার্সি পড়ে ইতিবাচক পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। দুই বছরের চুক্তি থাকলেও এক বছর পর পর্যালোচনার ভিত্তিতে পরের বছরের সিদ্ধান্ত হবে।’ 

২৬ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে দৌড়ের জার্সি পরে প্রথমবার মাঠে নামবে জাতীয় নারী ফুটবল দল। এরপর ভারতের বিপক্ষে ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নামবেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। এই জার্সি গায়ে উঠবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর মতো তারকার। তখন এই জার্সির মূল্যও অনেক বেড়ে যাবে।

‘জার্সি যখন কমার্শিয়ালি বিক্রি হবে সেটা অবশ্যই বাফুফের সাথে লভ্যাংশ ভাগাভাগি হবে’–বলেন ফাহাদ করিম। চুক্তি হওয়ার পর বাফুফে ফিফা-এএফসির অনুমোদনের জন্য আবেদন করবে। সেই অনুমোদন পেলে জার্সির এক পাশে আট ইঞ্চির মতো জায়গায় দৌড়ের লোগো বসবে। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সঙ্গে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে ঢাকা ব্যাংক। 

অনুশীলনে বাংলাদেশ নারী দল ঢাকা ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি দৌড়ের লোগো ব্যবহারে সমস্যা হবে না বলে জানান ফাহাদ, ‘দৌড় জার্সি প্রভাইড করবে। এর ফলে এক অংশে তাদের লোগো স্থাপিত হবে এর বাইরে আমরা অন্য স্পন্সর ব্যবহার করতে অসুবিধা নেই।’

২০২০ সালে কোভিডের সময় স্পোর্টস ভিত্তিক ব্র্যান্ড দৌড়ের যাত্রা শুরু। মাত্র চার বছরের মধ্যেই বাফুফের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে দৌড়-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আবিদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘কোয়ালিটির ক্ষেত্রে আমরা আপোষহীন। আমরা আকর্ষণীয় ডিজাইনে জার্সি করব। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী এক ডিজাইনার এ নিয়ে কাজ করছেন। জার্সিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য থাকবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল ফ হ দ কর ম ফ টবল দল বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বক্সিং রিংয়ে চ্যাম্পিয়ন জিনাতই, বোনকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে আফঈদা
  • দেশে প্রথমবারের মতো ২৫টি ‘বেশি বিপদজনক’ বালাইনাশক চিহ্নিত
  • হামাসকে অস্ত্রত্যাগে ও গাজার শাসন ছাড়তে সৌদি, কাতার, মিসরের আহ্বান
  • প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ট্রাম্পের দাবিকে অস্বীকার করলেন মোদি
  • প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের বিনামূল্যে সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ