বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সামিতির দশক পূর্তি উদযাপন
Published: 11th, February 2025 GMT
সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার প্রত্যয় নিয়ে এক দশক পার করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বশেমুরবিপ্রবিসাস)।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নানা আয়োজনে ১০ম প্রতিষ্ঠাবাৰ্ষিকী উদযাপন করেছে এ সমিতিটি।
এ উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজীব, ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মো বদরুল ইসলাম প্রমুখ।
র্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে কেক কাটা হয়। এছাড়াও সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে মিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শাহ মো. জহরুল ইসলাম বলেন, ‘সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অর্জন ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে সাংবাদিক সমিতি।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করার কারণে বারবার বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সব বাঁধা মোকাবিলা করে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে এ সমিতি।”
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, “সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তোমাদের সবার শুভকামনা রইল। তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করবে, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।”
উপাচার্য ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পজেটিভ দিকগুলো তুলে ধরবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করবে, এ আশা করি।”
২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হিসেবে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখে চলেছে সংগঠনটি।
ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক