বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবি মহিলা পরিষদের
Published: 11th, February 2025 GMT
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ মঙ্গলবার এ দাবি জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের কাছেও স্মারকলিপির একটি অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পারলাম যে রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ “বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়” নাম পরিবর্তন করে “রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়” করার দাবি জানিয়েছে। ২০০৮ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়। বাংলার নারী জাগরণের আলোকবর্তিকা, নারী শিক্ষার অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম রংপুরে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে নামকরণ করার মাধ্যমে নারী সমাজের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ও দাবি বাস্তবায়ন হয়।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সমাজের অচলায়তন ভেঙে নারীদের আলোর পথের সন্ধান দিয়েছেন। তিনি সমাজের অবরোধ ভাঙার জন্য, নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য, নারীর মুক্তির জন্য আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন, তার ফলে আজ লাখ লাখ নারী শিক্ষা, খেলাধুলা, জ্ঞানচর্চাসহ বিভিন্ন পেশায় এসে সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখতে পারছেন। সমাজে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার এই স্বপ্নদ্রষ্টার নামে রংপুরে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’–এর নাম পরিবর্তনের জন্য যে দাবি উঠেছে, তার প্রতি নারী সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। নাম পরিবর্তনের দাবিটি অযৌক্তিক ও অসম্মানজনক। এই দাবি ওঠায় নারী সমাজ বিস্মিত ও আহত। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ নামটি অপরিবর্তিত রাখার জন্য দাবি জানাচ্ছে।
শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি আরও আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘নারী মুক্তির অগ্রসেনানী মহীয়সী নারীদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব স্থাপনা রয়েছে, যা আগামী প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস, সেগুলোর নামও অপরিবর্তিত রাখার বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
আরও পড়ুনবেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব গম র ক য় স ম রকল প র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন