শ্যামনগরে শ্রেণিকক্ষে শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু
Published: 11th, February 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে মো. রাফি (৬) নামের এক শিশু শিক্ষার্থী। পরে তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যু রাফির বাবা আনিসুর পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক; মা সেলিনা এনজিওতে চাকরি করেন। মায়ের চাকরির সুবাদে রাফি শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে থাকত। রাফি খুলনার কয়রা উপজেলা সদরের আনিছুর রহমান ও সেলিনা আক্তার দম্পতির ছেলে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার জয়নগর প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
জয়নগর প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল ওহাব জানান, বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে রাফি কোচিংয়ের ক্লাস করছিল। সেখানে সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাকে অফিসকক্ষে নিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্কুলের শিক্ষক তাজুন নাহার বলেন, “কোচিং করার সময় মাথা ব্যথা করছে বলে জানিয়েছিল রাফি। তখন আমরা তাকে আলাদা করে বসিয়ে রাখি এবং মুঠোফোনে রাফির মাকে বিষয়টি জানাই। তার মা একটা ভ্যানে করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে বলেন। কিছুক্ষণ পর রাফি একবার বমি করে অচেতন হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাকির হোসেন বলেন, “রাফি নামে এক স্কুলছাত্রকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়।”
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, “হাসপাতাল থেকে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ে একজন এসআইকে পাঠানো হয়েছিল। তবে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ য মনগর চ ক ৎসক উপজ ল ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।