হাইমচরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬
Published: 11th, February 2025 GMT
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাইমচরের উত্তর আলগী দুর্গাপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এতথ্য জানান হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন সুমন।
আহতরা হলেন- বাচ্চু মিজি (৫০), শাহলম মিজি (৭০), খোরশেদ আলম মিজি (৩৫), নুরুল আমিন মিজি (৭০), মোহাম্মদ আমিন মিজি (৬০) ও ইব্রাহিম মিজি (৫০)।
আরো পড়ুন:
যশোরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৪
দুই দফা সংঘর্ষ শেষে শান্ত আইডিয়াল ও সিটি কলেজ
এলাকাবাসী জানান, বাচ্চু মিজি এবং নুরুল আমিন মিজির মধ্যে জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দুই পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জমির দলিল উঠানোর জন্য বাচ্চু মিজি নিজের পকেট থেকে নুরুল আমিন মিজিকে ২ হাজার টাকা দেন। নুরুল আমিন মিজি দলিলের নকল না দেওয়ায় বাচ্চু মিজির সঙ্গে গত সোমবার সন্ধ্যায় তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিও হয়। পরেস্থানীয় লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
আজ সকালে নুরুল আমিন মিজি, মোহাম্মদ আমিন মিজি ও ইব্রাহিম মিজি তাদের ছেলে ও স্বজনদের সাথে নিয়ে খোরশেদ মিজির ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হন।
শাহলম মিজির ছেলে রাকিব বলেন, “বাবা-চাচাকে মেরে নুরুল আমিনরা আমাদের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। আমি তাদের শাস্তি চাই।”
নুরুল আমিন মিজির ছেলে জুয়েল বলেন, “ওরা আমাদের মারধর করে ফাঁসাতে নিজেরাই নিজেদের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। মূলত আমরা তাদের হামলা প্রতিহত করেছি।”
হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন সুমন বলেন, “উত্তর আলগী গ্রামে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ছয়জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত ন র ল আম ন ম জ হ ইমচর স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।