বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) উদ্যোগে ব্যতিক্রমী রিভার ক্রুজ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিপিও শিল্পের সবকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা ও সহযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এমন আয়োজন বলে উদ্যোক্তারা জানান।
ভবিষ্যতে আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির শিল্পোন্নয়ন, সম্ভাবনার অনুসন্ধান ও সদস্যদের পারস্পরিক সংযোগ সুদৃঢ় করতে বাক্কো সদস্যরা ইতিবাচক মতামত ও পরামর্শ নিয়ে কথা বলেন।
বাক্কোর সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, বাংলাদেশের বিপিও শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। এমন নেটওয়ার্কিং প্রোগ্রাম আগামী দিনে নতুন ধারণা বিনিময় ও শিল্পের অগ্রগতির সুযোগ তৈরি করবে।
বিপিও শিল্পভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থেকে আসা প্রতিনিধিরা নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের শিল্পসংশ্লিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেন। যার মাধ্যমে বিপিও শিল্পের অপার সম্ভাবনা ও সামষ্টিক উন্নয়নের অভিপ্রায় সবার সামনে উত্থাপিত হয়।
বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম বলেন, শুধু ব্যবসায়িক সম্পর্ক নয়, বিপিও শিল্প পারস্পরিক সংযোগ ও সমষ্টিগত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল। এমন আয়োজন সহযোগিতামূলক ও গতিশীল আউটসোর্সিং খাতের মানোন্নয়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’