ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের এক একটি দিন এক এক বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। আজ ‘হাগ ডে’ ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে এই বিশেষ দিনটি পালিত হয়। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরে এই দিনটি উদযাপন করতে পারেন। স্পর্শের আলাদা ভাষা আছে। জড়িয়ে ধরা এক রকম স্পর্শ এই স্পর্শ প্রিয়জনকে জানিয়ে দেবে ভালোবাসা গভীরতা। জড়িয়ে ধরার নানা উপকারিতাও রয়েছে। 

হিন্দুস্তান টাইমস-এর তথ্য, প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে মানসিক চাপ কমে, শরীরের ব্যথা কমে, বিরক্তিকর মনোভাব দূর হয়।  জড়িয়ে ধরা এমন একটি স্পর্শ যার মাধ্যমে অন্য একজনকে সমর্থন দেওয়ার ফলে সান্ত্বনা পাওয়া যায়। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। 

উচ্চ রক্তচাপ কমে: প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হ্রাস পায়। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার এক সমীক্ষা প্রমাণ করেছে, একটি ভালো আলিঙ্গনে অক্সিটোসিন নামের এক প্রকার হরমোনের ক্ষরণ বেশি মাত্রায় হয় এবং এতে করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরো পড়ুন:

আজ ভালোবেসে প্রতিজ্ঞা করার দিন

আজ চকলেট ডে, প্রিয়জনকে চকলেট দেওয়ার দিন

ঘুম ভালো হয়: অনেকে স্বপ্নে ভালোবাসার মানুষের আলিঙ্গনে খুঁজে পান। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে, প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে যদি প্রিয় মানুষকে অল্প সময়ের জন্য হলেও নিবিড় আলিঙ্গনে রাখা যায়, তাহলে সেই আলিঙ্গন ভালো ঘুমের সহায়ক হতে পারে।  এতে প্রাণশক্তিও ফিরে পাওয়া যেতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সের এক সমীক্ষা বলছে, নিবিড় আলিঙ্গনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিবিড় আলিঙ্গনের ফলে হরমোনের ক্ষরণ কমে আসে এবং এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

এসব উপকারিতার কথা মাথায় রেখে আজ প্রিয়জনকে নিবিড় আলিঙ্গন করতে পারেন। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র য়জনক স পর শ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ