আজ ‘হাগ ডে’, প্রিয়জনকে নিবিড় আলিঙ্গন করার দিন
Published: 12th, February 2025 GMT
ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের এক একটি দিন এক এক বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। আজ ‘হাগ ডে’ ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে এই বিশেষ দিনটি পালিত হয়। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরে এই দিনটি উদযাপন করতে পারেন। স্পর্শের আলাদা ভাষা আছে। জড়িয়ে ধরা এক রকম স্পর্শ এই স্পর্শ প্রিয়জনকে জানিয়ে দেবে ভালোবাসা গভীরতা। জড়িয়ে ধরার নানা উপকারিতাও রয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস-এর তথ্য, প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে মানসিক চাপ কমে, শরীরের ব্যথা কমে, বিরক্তিকর মনোভাব দূর হয়। জড়িয়ে ধরা এমন একটি স্পর্শ যার মাধ্যমে অন্য একজনকে সমর্থন দেওয়ার ফলে সান্ত্বনা পাওয়া যায়। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
উচ্চ রক্তচাপ কমে: প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হ্রাস পায়। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার এক সমীক্ষা প্রমাণ করেছে, একটি ভালো আলিঙ্গনে অক্সিটোসিন নামের এক প্রকার হরমোনের ক্ষরণ বেশি মাত্রায় হয় এবং এতে করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরো পড়ুন:
আজ ভালোবেসে প্রতিজ্ঞা করার দিন
আজ চকলেট ডে, প্রিয়জনকে চকলেট দেওয়ার দিন
ঘুম ভালো হয়: অনেকে স্বপ্নে ভালোবাসার মানুষের আলিঙ্গনে খুঁজে পান। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে, প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে যদি প্রিয় মানুষকে অল্প সময়ের জন্য হলেও নিবিড় আলিঙ্গনে রাখা যায়, তাহলে সেই আলিঙ্গন ভালো ঘুমের সহায়ক হতে পারে। এতে প্রাণশক্তিও ফিরে পাওয়া যেতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সের এক সমীক্ষা বলছে, নিবিড় আলিঙ্গনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিবিড় আলিঙ্গনের ফলে হরমোনের ক্ষরণ কমে আসে এবং এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এসব উপকারিতার কথা মাথায় রেখে আজ প্রিয়জনকে নিবিড় আলিঙ্গন করতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র য়জনক স পর শ
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।